TTAADC : চাইলো ২৮ কোটি, মুখ্যমন্ত্রী দিলেন ৩০ কোটি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন সিইএম - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

TTAADC : চাইলো ২৮ কোটি, মুখ্যমন্ত্রী দিলেন ৩০ কোটি, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন সিইএম

Share This


 খুমুলুঙ, ২৭ মে :  তিপরা মথা দলের নেতৃত্বে এডিসির  নতুন  প্রসাশক কমিটি গঠিত হওয়ার পর  প্রথম খুমুলুঙে পা রাখলেন  মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে,  সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে এডিসিরর বর্তমান প্রশাসনের কাছে কল্পতরু হয়ে ধরা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খেরেঙবার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের উন্নয়নের জন্য  সিইএম পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া এক পত্রের মাধ্যমে ২৮ কোটি টাকা  মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন । মুখ্যমন্ত্রী এই পত্র হাতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে  ৩০ কোটি টাকা মঞ্জুরী দেয়ার কথা ঘোষণা করলেন  । 


     বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে খেরেঙবার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে রাজ্য সরকারের অর্থানুকুল্যে ১৫০ এলএমপি অক্সিজেন প্লান্টের শিলান্যাস  করে এই ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিইএম পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া, এডিসির চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা, এমডিসি তথা তিপরামথা দলের সুপ্রিমো মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন সহ অন্যান্যরা।


     এদিনের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার জনজাতি অংশের মানুষদের উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে । বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাইছে রাজ্য সরকার । এ জন্য রাজ্য সরকারের সম্পূর্ণ অর্থানুকূল্যে খেরেঙবার হেলথ সেন্টারে যেমন ১৫০ এলএমপি অক্সিজেন প্লান্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছে । পাশাপাশি এই হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে যতকিছু সহায়তা লাগে সবটাই রাজ্য সরকার দিতে প্রস্তুত রয়েছে । তিনি বলেন, সিইএম পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া এই হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ২৮ কোটি টাকা দাবি করেছেন,   রাজ্য সরকার আরো দু কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা এডিসি প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে।  এতে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরি করতে যতকিছু সরঞ্জাম দরকার তার ব্যবস্থা করা হবে। এক‌ই সাথে হাসপাতালের অন্যান্য কাজ যাতে খুব দ্রুত সম্পন্ন হয় সেই দিকটা এডিসি প্রশাসন খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।


     মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজের গরীব অংশের মানুষের কল্যাণে বর্তমান পরিস্থিতির সময়ে আপরান কাজ করে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। ৮০ কোটি টাকা খরচ করে সাত লক্ষ পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজ যেমন চলছে, তেমনি ৭০ কোটি টাকা খরচ করে প্রত্যেক গরীব পরিবারের কাছে দেয়া হবে ১০০০ টাকা করে।  চার লক্ষ লোক যারা সামাজিক ভাতা পান তাদের ২ হাজার টাকা অ্যাডভান্স দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । সবকিছু মিলিয়ে ৫৭৯ কোটি টাকার প্যাকেজ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। তার সাহায্যে খুব অল্পসময়ের মধ্যেই এই করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে রাজ্য সারাদেশে নজির সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।


     এডিসি প্রশাসনের দাবি মত রাজ্য সরকার সদর্থক ভাবে এগিয়ে ‌এসেছেন।  খেরেঙবার হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট বসানো ‌ও তার উন্নয়নে জন্য যাবতীয় অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন এডিসির সিইএম পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া।  এজন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।


সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যেও পালিত হলো নজরুল জন্মজয়ন্তী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad