আগরতলা, ২৬ জুন : শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫, রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে আগরতলায় বিভিন্ন মন্দির থেকে আয়োজিত মহা শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা থাকায় ত্রিপুরা পুলিশ বিশেষ ট্রাফিক পরামর্শ জারি করেছে।
রাজ্য পুলিশের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে সমস্ত রোড দিয়ে শোভাযাত্রা বের হবে- ১. পুরবাসা - ISKON মন্দির (মাঠ চৌমুহনী): ওল্ড মোটর স্ট্যান্ড – কামান চৌমুহনী – পোস্ট অফিস চৌমুহনী – নেতাজি চৌমুহনী – গান্ধিঘাট – প্যারাডাইস চৌমুহনী – পোস্ট অফিস চৌমুহনী – RMS চৌমুহনী – ওরিয়েন্ট চৌমুহনী – আর.এস ভবন – মহিলা কলেজ – বি.কে রোড – লাল বাহাদুর ক্লাব – গানারাজ চৌমুহনী – পুরবাসা।
২. জগন্নাথ জিউ মন্দির: রবীন্দ্র ভবন – রাজ বাড়ি – তুলসীবতী স্কুল – কামান চৌমুহনী – পোস্ট অফিস চৌমুহনী – ওল্ড RMS চৌমুহনী – দৈনিক সংবাদ – বি.কে চৌমুহনী – আর.এস ভবন চৌমুহনী হয়ে আবার জগন্নাথ জিউ মন্দির।
৩. আশ্রম চৌমুহনী – আশ্রম: কামার পুকুরপার – মোটরস্ট্যান্ড – চিত্তরঞ্জন – শিবনগর – কল্যাণী – আজাদ হিন্দ – প্রান্তিক ক্লাব হয়ে আশ্রমে ফিরে আসবে।
যানবাহন চলাচলের জন্য যে বিকল্প সড়ক গুলো বিকল্প হিসেবে থাকবে এগুলো হলো:
১. এ.ডি. নগর – ফ্লাইওভার – ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী – কের চৌমুহনী – শংকর চৌমুহনী – দুর্গা চৌমুহনী – বারজালা ক্রসিং – বোলাগিরি ক্রসিং – আই.এল.এস/জিবি। ২. জিবি – ইন্দ্রনগর – ঢলেশ্বর – মাঠ চৌমুহনী – যোগেন্দ্রনগর – বাইপাস। ৩. জিবি – আই.এল.এস – এস.ডি.ও. চৌমুহনী – নন্দননগর – বনিক্য চৌমুহনী – খেয়ারপুর।
যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা (নো এন্ট্রি) থাকবে:
১) আর.এস ভবন ক্রসিং থেকে জগন্নাথ জিউ মন্দির অভিমুখে,
২) ওরিয়েন্ট চৌমুহনী থেকে আর.এস ভবন ক্রসিং,
৩) লায়ন্স গেট থেকে আর.এস ভবন ক্রসিং,
৪) বি.কে চৌমুহনী থেকে আর.এস ভবন ক্রসিং,
৫) ওল্ড সেন্ট্রাল ক্রসিং থেকে পুর্বাসা
৬) মঠ চৌমুহনী থেকে পুর্বাসা এবং
৭)গনরাজ চৌমুহনী থেকে পুর্বাসা। ত্রিপুরা পুলিশ সকল যাত্রী, চালক এবং সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করেছে যে তারা নির্ধারিত বিকল্প পথ ব্যবহার করে যান চলাচল আবেদন জানিয়েছে।
এদিকে পবিত্র রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা রাজ্যবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রথযাত্রা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই উৎসব ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংহতির বার্তা বহন করে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন, যা ত্রিপুরার ঐক্য ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ভগবান জগন্নাথদেব, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার এই মহিমান্বিত যাত্রা আমাদের সকলের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসুক এই প্রার্থনা করি। এই উৎসব আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্য ও ভালোবাসার বন্ধন আরও সুদৃঢ় করুক। উৎসব আনন্দমুখর হোক।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন