পথচলার মাধুকরী
মিশ্র সংস্কৃতির রাজ্য ত্রিপুরা। জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন ঘটেছে এই উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট্ট পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায়। এই রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি, উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা সর্বসমক্ষে তুলে ধরার অভিপ্রায় নিয়ে "ব্রহ্মকুন্ড বার্তা"র পথ চলা।
ভারতবর্ষের পর্যটন মানচিত্রে এক সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল রাজ্য ত্রিপুরা । তার নানান পর্যটন ক্ষেত্র গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান মোহনপুর মহকুমার ব্রহ্মকুণ্ড । কয়েক শতক ধরে এই এলাকার মানুষ শৈবতীর্থ হিসেবেই এই স্থানটিকে জেনে আসছেন ।তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানান পৌরাণিক কাহিনীও । লোকমুখে বিশ্বাস স্বয়ং ভগবান পরশুরামের কুঠারাঘাতেই নাকি এখানকার মন্দিরের গা ঘেঁষে যে ছড়া নদী রয়েছে, তার উৎপত্তি হয়েছিল । অনেক ঘটনা অলৌকিক ঘটনার সাক্ষীও রয়েছেন এলাকার লোকজন। এমন অনেকবার ঘটেছে অশোকাষ্টমীর তিন দিন আগে পর্যন্ত এই ব্রহ্মকুণ্ডে জল না থাকলেও, দেখা গেছে ঢাক ঢোলের বাদ্য, আরতি শুরু হতেই, কোথা থেকে জল গড়িয়ে আসছে কেউ বলতেও পারেন না। এমনও দেখা গেছে অশোকাষ্টমীর পুণ্যস্নানের আগে অবিরাম ধারায় জল বয়ে আসছে এই ব্রহ্মকুণ্ডে । অথচ আকাশে কোনো বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই । এই সমস্ত গল্প ব্রহ্মকুন্ডে স্থানীয়দের মুখেশোনা যায়। এই তীর্থ স্থানটিকে নিয়ে। অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে গোটা মোহনপুর এলাকার মানুষের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের সবার মধ্যে।
আশ্চর্যের বিষয় হলেও এটা সত্যি, দীর্ঘ বছর ধরে এই ব্রহ্মকুণ্ড এবং তার মোহনপুর মহকুমা এলাকা থেকেছে প্রচারের আলোকের শত যোজন দূরে। এই মোহনপুর মহকুমার সাধারণ মানুষের মনের অভিব্যক্তি তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছে "ব্রহ্মকুন্ড বার্তা"। আমাদের পথচলায় আপনারা সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন । এই প্রত্যাশা রইল এবং সেই সঙ্গে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত আমরা প্রার্থনা করছি।
বিনীত
শ্রী নিতাই বণিক (এডিটর)
"ব্রহ্মকুন্ড বার্তা"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন