আগরতলা, ১৫ অক্টোবর : মোবাইলের দোকানে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করলো উন্মত্ত যুবক। পরে অভিযুক্ত যুবককে পাকরাও করে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। ২ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ব্যবসায়ীর নাম শঙ্কর সাহা। ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে আগরতলার মেলার মাঠ এলাকায়। দুজনের চিকিৎসা বর্তমানে আইজিএম হাসপাতালে চলছে।
ঘটনার বিবরণের জানা গেছে আগরতলা শহরে হরিগঙ্গা বসাক রোড ধরে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। সড়ক জুড়ে রয়েছে ব্যাপক ভিড়। তার মাঝেই মেলার মাঠ এলাকার একটি মোবাইলের দোকানে এক যুবক আচমকা ঢুকেই দোকান মালিক শঙ্কর সাহার সঙ্গে তরকাতুর্কি জুড়ে দেয়। দোকানে অন্যান্য কর্মচারীরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হয়নি, বরঞ্চ অকুত্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এক সময় দোকান মালিক ভেতর থেকে দোকানের দরজায় এগিয়ে এলে তাকে ঝাপটে ধরে অভিযুক্ত যুবক। সঙ্গে সঙ্গে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ আহতকে উদ্ধার করে আইজিএম হাসপাতালে পাঠায় । পাশাপাশি জনতার হাতে আটক হয় অভিযুক্ত যুবক । তাকেও উত্তম মধ্যম দেয়া হয়। পরে পুলিশ তাকেও হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানাতে গিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে জানান, দোকান মালিক শংকর সাহার সাথে অভিযুক্ত যুবকের পূর্বে লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবক নেশা আসক্ত বলেও জানান তিনি। এর ফলেই মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে এই হামলার ঘটনা সংঘটিত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান বলে তিনি মন্তব্য করেন। গোটা বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে মদমত্ত স্বামীর মারে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে স্ত্রী। ঘটনা কদমতলা থানাধীন রানীবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়ারাছড়া ৩নং ওয়ার্ড এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় কদমতলা থানার পুলিশ। কদমতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিজ গাড়ি করে আহত স্ত্রীকে কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। আহতের নাম রত্না তেলেঙ্গা (৪০) স্বামী বীরজু তেলেঙ্গা। কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক বিমল দাস আহতের প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। আহতের মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের রেফার করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ আহতের স্বামী বীরজু তেলেঙ্গাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন কদমতলা থানার কর্মরত এএসআই ডি এম চাকমা।
Economy of India : বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টাপ সংস্থার আতুঁড় ঘরে পরিণত হয়েছে ভারত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন