আগরতলা, ২২ অক্টোবর : দুর্গাপুজোর মহা অষ্টমীতে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। রাজ্যের সবকটি বারোয়ারী পূজো প্যান্ডেলে সকাল থেকেই শ্রদ্ধালুদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়, দেবী দুর্গার কাছে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা লক্ষ্যে। মহা অষ্টমী উপলক্ষে বেশ কয়েকটি জায়গায় কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।
অষ্টমী পূজোর পুষ্পাঞ্জলি অর্পণকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় আগরতলার দুর্গা বাড়িতে । এদিন সকাল সাতটা থেকেই শুরু হয় অষ্টমী পুজো। সকাল দশটা নাগাদ শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্ত প্রাণ মানুষ এখানে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। দুর্গা বাড়ির পুরোহিতের বক্তব্য অনুযায়ী, সকাল থেকে পুজো শুরুর আগেই ব্যাপক পুন্যার্থীর সমাগম ঘটে মন্দির চত্বরে । শত শত মানুষ এদিন ভক্তিভরে দেবী দুর্গার কাছে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেছেন। দুপুর বারোটা নাগাদ মায়ের কাছে অন্ন ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যার পাঁচটায় হয় সন্ধি পুজো। এরপর সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হয় আরতি। সন্ধ্যা আরতি দেখতেও ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা যায় আগরতলার দুর্গা বাড়িতে।
অষ্টমী পূজোর বিশেষ আকর্ষণ বলতেই সবার কাছে থাকে কুমারী পুজো। শাস্ত্রানুযায়ী কুমারী পুজোর উৎপত্তি হয় কোলাসুর-কে বধ করার মধ্যে দিয়ে। শাস্ত্রে বর্ণিত রয়েছে কোলাসুর এক সময় স্বর্গ ও মর্ত্যের অধিকার নেওয়ার ফলে, দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী পুর্নজন্ম-এ কুমারীরূপে কোলাসুর-কে বধ করেন। এর ফলে মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন শুরু হয়। বাধারঘাট এলাকার বাউল বাড়ির দুর্গাপুজো চতুর্থ বছর পরলো এ বছর।কৃষ্ণনগর নিবাসী শ্রীকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রী নয় বছর বয়সী বিবিধা ভট্টাচার্যকে কুমারী মা রূপে এবছর পূজা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন