আগরতলা, ০২ নভেম্বর : মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো ১৫ বছরের এক মাত্র কন্যার। শোকে পাথর মা-বাবা সহ পরিবার। ঘটনা জিরানীয়ায়। মৃতার নাম সুস্মিতা রুদ্র পাল। বাবা প্রদীপ রুদ্রপাল। ভাঙ্গা বৈদ্যুতিক বোর্ডে শর্ট সার্কিট হয়ে যাওয়াতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, বুধবার রাত বারোটা নাগাদ জিরানীয়ার প্রদীপ রুদ্র পালের ১৫ বছরের বয়সী দশম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা সুস্মিতা মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক বোর্ডে হাত দেয় । অনেকদিন ধরেই ওই বোর্ডটি ভাঙ্গা অবস্থায় ছিল বলে খবর। সুস্মিতা এতে হাত দিতেই বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে। তার গোঙ্গানির শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসে মা-বাবা দুজন । তখন তার বাবা প্রদীপবাবু নিজের কন্যাকে বাঁচাতে আকড়ে ধরে ফেলেন । এতে তিনিও বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসেন। তখন কিছুটা ধৈর্য ধরে বিদ্যুৎ বোর্ড থেকে প্লাগের সংযোগ ছিন্ন করেন সুস্মিতার মা । তখন দুজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
প্রদীপবাবু এবং ওনার স্ত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎপৃষ্ট সুস্মিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জিরানীয়া হাসপাতালে । কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেয় । জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নাবালিকা কন্যা সুস্মিতা রুদ্র পাল। জানা গেছে সুস্মিতার বড় বোনও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। বড় মেয়ের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বেঁচে থাকার আশা ভরসা বলতে প্রদীপ বাবুর পরিবারে সুস্মিতাই ছিল অবলম্বন। এবার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে সুস্মিতার মৃত্যুতে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন