Joining The Mainstream : মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলো এনএলএফটি ও এটিটিএফ'র ৫৮৪ জন বৈরী - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Joining The Mainstream : মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলো এনএলএফটি ও এটিটিএফ'র ৫৮৪ জন বৈরী

Share This


 আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর : উন্নয়নের প্রধান শর্তই হলো শান্তি। শান্তি না থাকলে সম্প্রীতি সুদৃঢ় হয় না। আজ রাজ্যের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিনে আমরা সবাই স্বাক্ষী হতে পেরে আনন্দিত। মঙ্গলবার জম্পুইজলাস্থিত ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ৭ম ব্যাটেলিয়ানের সদর দপ্তরে আয়োজিত এনএলএফটি ও এটিটিএফ'র আত্মগোপনকারী বৈরীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, আজকের পর থেকে বলা যায় ত্রিপুরা সন্ত্রাসবাদ মুক্ত রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বলেছিলেন- দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যদি উন্নত না হয় তবে ভারতের সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র উপস্থিতিতে ভারত সরকার, রাজ্য সরকার এবং এনএলএফটি এবং এটিটিএফ-এর মধ্যে এক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরই অঙ্গ হিসাবে আজ এই দুটি সংগঠনের সদস্যরা অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।


অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে কেন্দ্র করে ১২টি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরমধ্যে রাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিনটি চুক্তি রয়েছে। এই সব শান্তি চুক্তির মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার সশস্ত্র জঙ্গি অস্ত্র ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। রাজ্যের উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লক্ষ্যে সশস্ত্র সংগঠনের যে সমস্ত সদস্যরা অস্ত্র পরিহার করে স্বাভাবিক জীবনের মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের স্বাগত জানান। অস্ত্রসমর্পণ অনুষ্ঠানে এনএলএফটি এবং এটিটিএফ এই দুই সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বগণ মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করেন। 


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। অনুষ্ঠানমঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী প্রমুখ। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি (আইনশৃঙ্খলা এবং ইন্টিলিজেন্স) অনুরাগ ধ্যানকর।


অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এ-কে সিরিজের রাইফেল তুলে দেন এনএলএফটি (বিএম)- এর প্রেসিডেন্ট বিশ্বমোহন দেববর্মা, এনএলএফটি (পিডি)-এর প্রেসিডেন্ট পরিমল দেববর্মা, এনএলএফটি (ওআরআই) এর প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ দেববর্মা এবং এটিটিএফ এর প্রেসিডেন্ট অলিন্দ্র দেববর্মা। এনএলএফটি ও এটিটিএফ সংগঠনের মোট ৫৮৪ জন সদস্য আজ অস্ত্র সমর্পণ করেন। এরমধ্যে এনএলএফটি (বিএম) ২৬১ জন, এনএলএফটি (পিডি) ১০০ জন, এনএলএফটি (ওআরআই) ১০০ জন, এটিটিএফ ১২৩ জন। এই অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠানে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ৯টি এ-কে সিরিজের রাইফেল, রিভলবার ১টি, রাইফেল ১টি, দেশী বন্দুক ৮৯টি, কারখানায় তৈরি বন্দুক ৮টি, ল্যান্ড মাইন ৭টি, পিস্তল ১৩টি সহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad