আগরতলা, ১৯ জুন : খরিদ্দারের চাহিদা মতো মাংস দোকান কর্মচারী প্যাকেট করে হাতে তুলে দেয়। মাংস প্যাকেট হাতে নিয়েই ওজন নিয়ে বচসায় দোকান কর্মচারীর উপর কাঠের ফাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাতাল খরিদ্দার। এতে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শনিবার মৃত্যু হল মাংস দোকান কর্মচারীর। মৃতের নাম সমীরণ দাস । ঘটনা রামনগর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার কালিকাপুর গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম শিমূল দাস। বর্তমানে সে পলাতক।
এলাকাবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী, গত ১২ ই জুন সন্ধ্যায় এলাকার উশৃংখল যুবক শিমূল দাস মাংস দোকান কর্মচারী সমীরণ দাসের কাছে মাংস কিনতে আসে । সে সমীরণের কাছে ৭০০ গ্রাম মাংস চায়। যথারীতি মেপে তা প্যাকেট করে শিমুলের হাতে তুলে দেয় । কিন্তু নেশাগ্রস্ত যুবক সমীরণকে বলে ৫০০ গ্রাম মাংস দিয়ে কেন ৭০০গ্রাম বলা হচ্ছে। তার আচরণ উৎশৃংখল হয়ে উঠছে দেখে সমীরণ বলে দোকানের মালিক আসুক । একথা মানতে নারাজ নেশাগ্রস্থ খরিদ্দার। সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেদম প্রহার করা হয় । এক সময়ে কাঠের ফাইল দিয়ে মাংশ দোকান কর্মচারীর মাথার পেছনে প্রচণ্ড আঘাত করে। এতেই মৃত্যু হয় তার।
মৃত যুবক সমীরণ দাসের পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদিন রাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে সমীরণ। তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় আইজিএম হাসপাতালে । সেখান থেকে তাকে রেফার করে দেয়া হয় জিবি হাসপাতালে । কিন্তু চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাংস দোকান কর্মচারী সমীরণ দাস ।ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে রামনগর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয় । এলাকাবাসীর দাবি, গরীব মাংস দোকান কর্মচারীর পরিবারের কথা চিন্তা করে পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন