আগরতলা, ০৪ জানুয়ারি : অগ্রগতির প্রাথমিক সোপান হচ্ছে বিজ্ঞান। তাই বিজ্ঞানের সাথে নিজেদেরকে সবসময় সময়োপযোগী করে রাখতে হবে। খেলার ছলে বিজ্ঞানকে মজ্জাগত করার ক্ষেত্রে সায়েন্স সিটি এক অন্যতম মাধ্যম হতে পারে। বুধবার সিদ্ধিআশ্রমস্থিত প্রোজেনি ওচার্ডে নির্মিত আগরতলা সায়েন্স সিটির দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়ামস (এনসিএসএম)-এর নির্ধারিত নিয়মনীতি অনুসরণ করে এই সায়েন্স সিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১২.৮৪ একর এলাকায় এই সায়েন্স সিটি গড়ে তোলা হয়েছে। ব্যয় হয়েছে ৬৭.৩৮ কোটি টাকা।
সায়েন্স সিটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ৯৩ লক্ষ লোকের দেশ ইজরায়েল বিজ্ঞানমনস্কতার দিক দিয়ে পৃথিবীতে অনেকটাই এগিয়ে। যার ফলে বর্তমান সময়ে উন্নত যন্ত্রপাতি, আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণে তারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চাইতে অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ভিত্তি করে এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট। তাই প্রধানমন্ত্রী কার্যকালের প্রথম থেকেই দেশকে ডিজিটাল ইন্ডিয়াতে রূপান্তরিত করার জন্য জোর দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির কারণে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবগুলি রাজ্যই আজ উন্নয়নের পথে অগ্রসর। আমাদের রাজ্যে যুক্ত হয়েছে। ব্রডগেজ রেল, হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবস্থা, উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত সুদৃশ্য বিমানবন্দর। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর দিশায় বর্তমান রাজ্য সরকার ত্রিপুরা রাজ্যকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, ২০১৯-এর পূর্বে এই আগরতলা সায়েন্স সিটির কাজ কেবলমাত্র ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছিল। এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য পূর্বতন সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রিম কোনও অর্থই বরাদ্দ করা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে পূর্ত দপ্তরের সদিচ্ছায় অতি অল্প সময়ে বিশ্বমানের এই সায়েন্স সিটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সায়েন্স সিটি নির্মাণে ডোনার মন্ত্রক থেকে ২২.৬৮ কোটি টাকা, রাজ্য সরকার থেকে ২৪.৭০ কোটি টাকা এবং এসপিএ থেকে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বর্তমানে নির্মিত মূল বিল্ডিংয়ে ৬টি এক্সিবিশন হল, ২টি সেমিনার হল, ১টি প্ল্যানেটোরিয়াম, ১টি থ্রিডি হল, ১টি চিল্ড্রেন অ্যাক্টিভিটি হল রয়েছে। এক্সিবিশন কম্পোনেন্টের মধ্যে রয়েছে ফান সায়েন্স এক্সিবিট গ্যালারি, অ্যাস্ট্রোনমি, টেম্পোরারি এক্সিবিশন, বায়োডাইভার্সিটি গ্যালারি, থ্রিডি থিয়েটার, প্ল্যানেটোরিয়াম। এছাড়াও আগামীদিনে এখানে সায়েন্স পার্কও নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে এনসিএসএম-এর ডাইরেক্টর জেনারেল অরিজিৎ দত্ত চৌধুরী জানান, উদয়পুর সায়েন্স সেন্টার ভারতবর্ষের মধ্যে এক অন্যতম সায়েন্স সেন্টারে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের সুকান্ত একাডেমির আধুনিকীকরণের কাজ আগামী ১ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মিমি মজুমদার, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের প্রধান সচিব কে এস শেঠি এবং অধিকর্তা অনিমেষ দাস। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল ।
Workshop for Media : মুদ্রণ ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে নির্বাচন বিষয়ক কর্মশালা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন