Food & Civil Supplies : রেশনশপে সুলভ মূল্যে ১০০ গ্রামের প্যাকেটজাত সয়াবিন বিক্রি করার সিদ্ধান্ত - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Food & Civil Supplies : রেশনশপে সুলভ মূল্যে ১০০ গ্রামের প্যাকেটজাত সয়াবিন বিক্রি করার সিদ্ধান্ত

Share This

 


আগরতলা, ০৫ জানুয়ারি : রাজ্যের জনসাধারনের স্বার্থে রাজ্য সরকার রেশনশপে সুলভ মূল্যে ১০০ গ্রামের প্যাকেটজাত সয়াবিন বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোক্তারা তাদের প্রয়োজন অনুসারে রেশন দোকান থেকে সয়াবিন সংগ্রহ করতে পারবেন এবং প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন প্যাকেটের মূল্য পড়বে ১৬ টাকা যা খোলা বাজারের মূল্যের তুলনায় অনেকটাই কম। এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন এবং রেশনশপগুলি অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ সচিব ড. সন্দীপ আর রাঠোর।


সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য জনসংতরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যে রূপায়িত বিভিন্ন প্রকল্প ও নতুন উদ্যোগসমূহের অগ্রগতি তুলে ধরে বিশেষ সচিব জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো রাজ্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কর্মসূচি শুরু হয়েছিল যা চলতি খরিফ মরসুমেও (২০২২-২৩) জারি রাখা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে চলতি মরসুমে ধান ক্রয় করা শুরু হয়েছে এবং তা আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত চলবে। তিনি জানান, এই মরসুমে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এবং ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৮১৮ জন কৃষকের কাছ থেকে মোট ১৭,০৭৯ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে এবং এই জন্য সহায়ক মূল্য বাবদ মোট ৩৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা সরকারী কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে সরকারী উদ্যোগে মোট ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৮৪ মেট্রিকটন ধান জয় করা হয়েছে এবং সহায়ক মূল্য হিসেবে কৃষকগণ মোট ২৭৮ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা পেয়েছে।


সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত আরও একটি জনকল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাধীন প্রতিটি অন্ত্যোদয় পরিবারকে মাসিক ৩৫ কেজি এবং প্রায়োরিটি গ্রুপ ভুক্ত পরিবারকে সদস্য পিছু মাসিক ৫ কেজি হারে বরাদ্দকৃত চাল প্রতি কেজি ২ টাকা দরের পরিবর্তে জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। ১লা জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে রাজ্যে বিনামূল্যে এই খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচি যথাযথভাবে কার্যকর করা হচ্ছে। তিনি। জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাধীন সুবিধাভোগীদের নিয়মিত বরাদ্দের অতিরিক্ত ৫ কেজি হারে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ১৬৫ মেট্রিকটন চাল এবং ৪,৩৮১ মেট্রিকটন ডাল বিনামুল্যে বিতরণ করা হয়েছে। রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাধীন ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার পরিবার এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। ২-এর পাতায়


সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ সচিব জানান, দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ন্যূনতম চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন জনকল্যানমূলক প্রকল্পের অধীনে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান মিশ্রিত চাল তথা ফর্টিফায়েড চাল বিতরণের কর্মসূচি গ্রহন করেছে। সেই অনুযায়ী মিড-ডে-মিল ও সুসংহত শিশু উন্নয়ন প্রকল্প (পুষনঅভিযান)-এর অধীনে সারা রাজ্যে ফর্টিফায়েড চাল বিতরণের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেই সঙ্গে গণবন্টনের অধীনে রাজ্যের ধলাই জেলাতে ফর্টিফায়েড চাল বিতরণ করা হচ্ছে এবং এপ্রিল ২০২৩ থেকে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এই চাল বিতরণ শুরু করা হবে।


তিনি জানান, সম্প্রতি জিরানীয়াস্থিত বেলবারীতে ৫০০ মেট্রিকটন স্টোরেজ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি নতুন খাদ্য গোডাউন চালু করা হয়েছে এবং গত ৪ জানুয়ারী উদয়পুরস্থিত চন্দ্রপুরে ১০০০ মেট্রিকটন স্টোরেজ ক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি নতুন খাদ্য গোডাউন উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজ্যে ক্রেতাস্বার্থ সুরক্ষা সুনিশ্চিতকরণে কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ২০১১ যথাযথভাবে কার্যকর করা হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে একটি স্টেট কনজিউমার ডিসপিউট রিড্রেসাল কমিশন এবং পশ্চিম ত্রিপুরা, ধলাই, গোমতী এবং ঊনকোটি জেলায় একটি করে মোট ৪টি ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার কমিশন ক্রেতাস্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করে চলেছে। সম্প্রতি, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা (ধর্মনগর), খোয়াই এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা (বিলোনিয়া) জেলায় তিনটি নতুন ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার কমিশন গঠন করা হবে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার সম্প্রতি ১৫টি ফুড ইন্সপেক্টরের শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টি পি এস সি দ্বারা পরিচালিত কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ পরীক্ষার মাধ্যমে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ করা হবে। এইজন্য ইতিমধ্যে টিপিএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং এই সংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষার প্রিলিমিনিয়ারি ধাপ গত ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পরবর্তী ধাপ (মেইন) টিপিএসসি কর্তৃক ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া, খাদ্য দপ্তরের আরো ৩৫টি অন্যান্য গ্রুপ-সি পদে তথা ৬টি সাব-ইন্সপেক্টর, ০৩টি ফিউমিগেশন অ্যাসিসট্যান্ট, ০৬টি জুনিয়র স্টোর কিপার এবং ২০টি লোয়ার ডিভিসন ক্লার্ক পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদগুলি পূরণ করার জন্য জেআরবিটি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারি, অতিরিক্ত অধিকর্তা আনিমেষ দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন।



Agartala Science City : ১২.৮৪ একর এলাকা জায়গা জুড়ে আগরতলা সায়েন্স সিটি,  দ্বারোদঘাটন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad