আগরতলা, ০৯ জানুয়ারি : ১৩তম বিধানসভার তৃতীয় অধিবেশনে আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদসূচক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। অধিবেশনের প্রথমার্ধে রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিধায়ক রঞ্জিত দাস বলেন, ত্রিপুরার জনগণের সার্বিক বিকাশের চিত্র রাজ্যপালের ভাষণে ফুটে উঠেছে। তাছাড়াও রাজ্যপালের ভাষণের উপর ধন্যবাদসূচকের প্রস্তাবের আলোচনায় আজ অংশ নেন ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক ভগবান দাস, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক অন্তরা দেব সরকার, বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন।
রাজ্যপালের ভাষণের উপর সংশোধনী এনে আলোচনায় অংশ নেন বিধায়ক জীতেন্দ্র চৌধুরী, বিধায়ক ইসলাম উদ্দীন, বিধায়ক পাঠানলাল জমাতিয়া, বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিধায়ক পল দাংশু, বিধায়ক স্বপ্না দেববর্মা, বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা।
রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের পরিকল্পনায় রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় ড্রাগ ডি-অ্যাডিকশন ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটি সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রকের প্রকল্পে এই সেন্টারগুলি খোলা হবে। আজ বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিধায়ক মিনারাণী সরকার ও বিধায়ক যাদবলাল নাথের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানান সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শ্রীরায় জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রস্তাব অনুসারে ভারত সরকার নরসিংগড়ে অবস্থিত মর্ডাণ সাইকিয়াস্ট্রিক হাসপাতালে একটি ড্রাগ অ্যাডিকশন ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি সেন্টারের অনুমোদন দেয়। বর্তমানে এই সেন্টার থেকেই রাজ্যে সরকারি ভাবে নেশামুক্তির চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, স্বাস্থ্য দপ্তর ২০০ শয্যা বিশিষ্ট 'ইন্টিগ্রেটেড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার ফর অ্যাডিক্টস' সিপাহীজলাতে স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ত্রিপুরা ট্রাইবেল অটোনমাস ডিস্ট্রক্ট কাউন্সিলে একটা ড্রাগ ডি-অ্যাডিকশন সেন্টার তৈরী হয়েছে যা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে। এছাড়া দক্ষিণ ত্রিপুরা ও গোমতী জেলায় ২টি ড্রাগ ডি-অ্যাডিকশন সেন্টার খোলার প্রস্তাব ভারত সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ত্রিপুরায় উৎপাদিত সুস্বাদু ক্যুইন আনারস দেশের দিল্লি, আসাম, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও রাজস্থান রাজ্যে এবং দেশের বাইরে দুবাই, ইংল্যান্ড, জার্মানি, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশে রপ্তানি করা হয়। আজ বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা, বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাসের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ এই তথ্য জানান। বিগত তিনটি অর্থবছরে রাজ্যে আনারস চাষের ও উৎপাদনের তথ্য দিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬০৫ মেট্রিক টন আনারস, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৮৮ মেট্রিক টন (আনুমানিক) আনারস উৎপাদন হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজ্যে ৫,০৬৩ জন আনারস চাষি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫,৬১৭ জন আনারস চাষি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬,৬৬৬ জন আনারস চাষি আনারস চাষের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, বিগত ৩টি অর্থবছরে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মোট ৬,৫২৮ মেট্রিক টন আনারস বহিরাজ্য ও বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তিনি জানান, দেশের অন্যান্য রাজ্য ও বিদেশে প্রায় ৯ কোটি ৭৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার আনারস রপ্তানি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন