আগরতলা, ০২ আগস্ট : দুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে চলছে মুষলধারে বৃষ্টি। আর এই ভারী বর্ষণের ফলে নাজেহাল জনজীবন। ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে কৃষি জমি, মানুষের বাড়িঘর এবং রাস্তাঘাট। এমন একটি চিত্র লক্ষ্য করা গেল দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া মহকুমার বিভিন্ন স্থানে। বিলোনিয়া মহকুমার পূর্ব কলাবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন উত্তর কলাবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রতন লাল দাসের বাড়িতে ঘরের উপর উঁচু টিলা থেকে মাটির ধ্বস পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় পরিবারটি এখন সরকারি সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। এছাড়া মহকুমার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় মাটির ধ্বস এবং গাছ পড়ে মানুষের বাড়ি ঘরে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে বিলোনিয়া মহকুমার ছয়ঘরিয়া চৌদ্দ দেবতা মন্দিরের সামনে রাস্তায় বড় ধ্বস পরে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে যানবাহন আটকে থাকতে হয়েছে। এর ফলে রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স দাড়িও আটকে পড়ে রাস্তায়। পরবর্তী সময়ে যান চালক এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাস্তা থেকে মাটির ধর এবং গাছ সরিয়ে চলাচলের উপযুক্ত করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো কোন প্রশাসনিক আধিকারিক এবং আপৎকালীন পরিষেবার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের দেখা মিলেনি।
বিলোনিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে জল জমার ছবি ধরা পড়েছে। এরমধ্যে বিলোনিয়া মুহুরী নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে বিলোনিয়া শহর এলাকার জনগণ। যেকোন সময় মুহুরী নদীর জল প্রবেশ করতে পারে বিলোনিয়া শহরে। এর ফলে গোটা শহর জলমগ্ন হয়ে পরবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের নজরদারি রয়েছে জেলা এবং মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়, যেকোনো ধরনের বিপদকালীন সময়ে পরিষেবা প্রদান করতে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, "বিগত ২ দিনের ক্রমাগত বর্ষণে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনীয়া, শান্তিরবাজার, জোলাইবাড়ি সহ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রশাসন এই সামগ্রিক পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফঃ (ডা.) মানিক সাহা মহোদয়।" তবে তিনি জনসাধারণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন