Tripura Flood : সিপাহীজলা এবং খোয়াই জেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Tripura Flood : সিপাহীজলা এবং খোয়াই জেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

Share This

 


আগরতলা, ৩০ আগস্ট : রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বি সি যোশীর নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (আইএমসিটি) ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন বন্যাদুর্গত স্থান পরিদর্শন করছেন। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে এ সংবাদ জানান। তিনি জানান আন্তঃমন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি আজ বন্যার ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নের জন্য সিপাহীজলা এবং খোয়াই জেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন।


 রাজস্ব সচিব জানান, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ৪ হাজার ৭৩৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪,৫৯০ টি বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। ধলাই জেলা, সিপাহীজলা জেলা, গোমতী জেলা এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ১৪৪টি বিদ্যালয় এখনও খোলা যায়নি। এছাড়াও গতকাল থেকে রাজ্যের ৯ হাজার ২৭৮টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পুনরায় চালু করা হয়েছে। বাকি ৯৩৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র হোম রেশনের সুবিধা নিয়ে কাজ করছে।


বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে আজ বিকাল পর্যন্ত রাজ্যে ৩২৯টি ত্রাণ শিবির চালু রয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ১৭,৯৩৯ জন মানুষ আশ্রিত রয়েছেন। তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য, পানীয় জল এবং স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, সাম্প্রতিক বন্যার পর প্রথমবারের মতো আজ সোনামুড়ায় গোমতী নদীর জলস্তর বন্যাস্তর থেকে নিচে নেমে এসেছে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সর্বোচ্চস্তরে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পুরো রাজ্যকে 'প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রভাবিত এলাকা' হিসাবে ঘোষণা করেছে। বন্যায় রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, ২ জন আহত হয়েছেন এবং ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত ৩২ জনের মধ্যে ১৯ জন ভূমিধসে, ১২ জন জলে ডুবে এবং বসত বাড়ি ভেঙ্গে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং জলবাহিত রোগ যাতে না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব সচিব জানান, গত ২৭ আগস্ট থেকে কলেজগুলিতে একাডেমিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু হয়েছে। অধিকাংশ কলেজেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার আরও বাড়বে বলে সচিব আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্সের চলতি সেমিস্টার পরীক্ষার দিনক্ষণ পুননির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সেই অনুসারে ২০২৪ সালের সমস্ত চলতি সেমিস্টার পরীক্ষা যা গত ১৩ আগস্ট, ২০২৪-এ শুরু হয়েছিল সেগুলি ২০ আগস্ট থেকে ২০২৪-এর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুমিত লোধ, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরৎ কুমার দাস।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad