আগরতলা, ১১ জুন : শুক্রবার এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বপ্রথম 'কিষান রেল'। এর মাধ্যমেই বর্তমানে আগরতলা থেকে কাঁঠাল ও আনারস নিয়ে সরাসরি দিল্লী পৌঁছবে। সবুজ পতাকা নেড়ে কিষান রেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব । উপস্থিত ছিলেন পরিবহনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়িকা মিমি মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রাথমিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন। এরই দৃষ্টান্ত হচ্ছে এই কিষান রেল। তিনি বলেন, এই রেল চলাচলের ফলে রাজ্যের কৃষকরা যেমন আর্থিক ভাবে উপকৃত হবেন তেমনই বহিঃরাজ্যে বাজার বিস্তারেরও সুযোগ গড়ে উঠবে। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি ও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলজিকে রাজ্যের সমগ্র কৃষকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই রেল চালু হাওয়ার ফলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও খরচ অনেক কমবে। যা আগে বিমানের মাধ্যমে পাঠাতে খরচা হতো প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা আজ তা দিল্লীর ক্ষেত্রে মাত্র ২.২৫ টাকা এবং গুয়াহাটির ক্ষেত্রে ৮৮ পয়সা। এই মহামারীর ফলে এখন শুধু কাঁঠাল এবং আনারস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে তার পাশাপাশি ধান, লেবু, কাজু, ড্রাগনফ্রুট, কাশ্মীরি আপেল কুল-সহ আরও ফসলের ভাল উৎপাদন হয়। এবং তার চাহিদাও বহিঃরাজ্যে বিপুল। তাই পরবর্তী সময়ে বাকি ফসলের রপ্তানির ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। কৃষক-বান্ধব এই সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে বদ্ধপরিকর। রাজ্যের বাইরেও তাঁদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণ করতে সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার সংকল্প নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। এ লক্ষ্যে ঐতিহাসিক কিষাণ রেলের উদ্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন পরিবহনমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়।
ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে ৬০০ এলপিএম-এর অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট"-এর উদ্বোধন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন