International Day For Persons With Disabilities : সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

International Day For Persons With Disabilities : সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠান

Share This

 


আগরতলা, ০৩ ডিসেম্বর : সমাজকে সুন্দর করতে হলে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের সহায়তা প্রয়োজন। জীবনের প্রতিকূল অবস্থাতেও দিব্যাঙ্গজনরা এগিয়ে চলেছেন। তাদের কাছ থেকেও অনেক কিছু শেখার ও জানার রয়েছে। তারাও সমাজ ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন। আন্তর্জাতিক দিব্যাঙ্গজন দিবস উপলক্ষে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে শনিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক দিব্যাঙ্গজন দিবস উদযাপনের একটা মাহাত্ম রয়েছে। ১৯৯২ সাল থেকে এই দিনটি বিশ্বের নানা প্রান্তে পালন করা হচ্ছে। এই দিনটি প্রকৃত অর্থে শুধু দিব্যাঙ্গজনদের জন্য। এই সমাজ এই পৃথিবী আমাদের প্রত্যেকের জন্য। মানুষই মানুষের জন্য কাজে আসবে। উপকারে আসবে। ভাগ্যের পরিহার কেউ কেউ দিব্যাঙ্গজন হিসেবে জন্ম নেয়। কিন্তু তারাও সমাজের এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। দিব্যাঙ্গজনরাও সুস্থ সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সরকার সবসময় তাদের পাশে রয়েছে এবং থাকবে। রাজ্য সরকারও তাদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। তাদের থাকা খাওয়া, পড়াশুনা থেকে শুরু করে চাকরি বা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। দিব্যাঙ্গজনদের জীবনযাত্রা কিভাবে আরও উন্নত করা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুফল তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব বলেন, দিব্যাঙ্গজন ছেলেমেয়েদের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার সবসময় পাশে রয়েছে। এজন্য সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন প্রকলপ বাস্তবায়ন করছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের পশ্চিম জেলা প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্রাণী বিশ্বাস। তিনি দিব্যাঙ্গজনদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে পার্সন উইথ ডিসেবিলিটিসের স্টেট কমিশনার মহম্মদ জুবাইর আলি হাসমি আন্তর্জাতিক দিব্যাঙ্গজন দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আগামীতে দিব্যাঙ্গজনদের জীবনশৈলীও অনেকাংশে সহায়ক হবে। রাজ্য সরকারও তাদের কল্যাণে নিয়োজিত রয়েছে।




অনুষ্ঠানে দিব্যাঙ্গজন নারী পুরুষের হাতে চলন সহায়ক সামগ্রী হিসেবে হুইল চেয়ার এবং শ্রবণ যন্ত্র তুলে দেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। এর পাশাপাশি অভয়নগর মহিলা আশ্রমের প্রাক্তন আবাসিক তরুণী ত্রিমন সরকারকে টেট পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরি অর্জনের জন্য সম্বর্ধিত ও সম্মানিত করা হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ত্রিমন সরকার তার জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তার পড়াশুনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর বিশেষভাবে সহায়তা করেছে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল, হোম, এনজিও সংস্থার ছেলেমেয়েরা অংশ নেয়।



Cabinet Decisions : ২০০ ইঞ্জিনিয়ারের পদ পূরণ, সহায়ক মূল্যে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় ও টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চালুর অনুমোদন 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad