Tripura Fire Service : ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং স্কুলের নবনির্মিত ভবন এবং সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের বেসিক ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Tripura Fire Service : ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং স্কুলের নবনির্মিত ভবন এবং সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের বেসিক ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন

Share This

 


আগরতলা, ০৫ ডিসেম্বর : অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সর্বাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও এখন রাজ্যে গড়ে উঠছে। সোমবার আগরতলার বাধারঘাটস্থিত ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং স্কুলের নবনির্মিত পাকা ভবন এবং সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের জীবন রক্ষা ও উদ্ধার কার্য বিষয়ক বেসিক ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং স্কুলের নবনির্মিত ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। এই ট্রেনিং স্কুল নির্মাণের জন্য ২.১৯ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে।


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের কর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে থাকেন। দুর্ঘটনাজনিত পরিস্থিতিতে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের উপস্থিতি সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেকটাই আশার আলো জাগিয়ে তোলে। সম্প্রতি সাব্রুমে একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিজেদের কর্তব্য পালনের সময় আহত অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের কর্মীরা এক্ষেত্রে তাদের জীবনকে বাজি রেখে সাধারণ জনগণের প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে যে অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কর্তব্যের প্রতি তাদের এই নিষ্ঠার জন্য সরকার গর্ববোধ করে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং স্কুলের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যেসব বিষয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তাতে দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় উদ্ধার কাজের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়াররা দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সম্প্রতি কোভিত্ত কালীন পরিস্থিতিতেও তারা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের ভালো রাখার বিষয়টিকেও গুরুত্ব সহ দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। বহুতল আবাসন নির্মাণে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি গুরুত্ব সহ দেখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন।




অনুষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে ফায়ার অ্যাক্ট তৈরি করা হয়েছে। যা বিগত দিনে ছিল না। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ১৩ মাসের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের ড্রেস অ্যালাউন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।


অনুষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় সর্বদাই নিয়োজিত থাকেন অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের কর্মীরা। বর্তমানে অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তর নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মিমি মজুমদার, অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দপ্তরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য কুমার ভট্টাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা দেবযানী দেব।




অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য সম্বলিত একটি পুস্তিকার আবরণ উন্মোচন করেন। কর্মক্ষেত্রে দপ্তরের যেসকল কর্মীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদেরকে অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার স্বরূপ তাদের হাতে স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী, অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের মন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। অনুষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পথ শেষে বিপর্যয় মোকাবিলার উপর একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি, হ্যাম রেডিও ইত্যাদি প্রদর্শনী স্টলগুলি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী, অগ্নি নির্বাপক ও জরুরি পরিষেবা দপ্তরের মন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।



Butterfly Festival : আগরতলার হেরিটেজ পার্কে মুক্ত আকাশে প্রজাপতি উড়িয়ে দ্বিতীয় প্রজাপতি উৎসবের উদ্বোধন 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad