আগরতলা, ১০ জানুয়ারি : বর্তমান রাজ্য সরকার কারা দপ্তরের আধুনিকীকরণে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। কারাবাস শেষ করার পর কারা আবাসিকগণ যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন ও জীবিকা নির্বাহের পথ সুগম করতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারা আবাসিকদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক কাজে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র (কারা) দপ্তরের গত ৫ বছরের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও কর্মসূচি সম্বলিত একটি পুস্তিকার মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে একথা বলেন কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। এই উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কারামন্ত্রী আরও বলেন, কারা আবাসিকদের জীবনমান উন্নয়নে দপ্তর বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তাদের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্মনগরে নির্মান করা হয়েছে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সম্পন্ন নতুন কারা ভবন। তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকারের সময়কালে প্রবর্তিত করা হয়েছে কারা দপ্তরের ত্রিপুরা সংশোধনাগার রুলস্ ২০২১। কারা দপ্তরে ২৪৯টি বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলেও কারা মন্ত্রী শ্রী পাল জানান।
অনুষ্ঠানে আই জি প্রিজন অদিতি মজুমদার বলেন, মহিলা কারা আবাসিকদের সঙ্গে থাকা ৬ বছর বয়সের নিচে শিশুদের থাকা খাওয়া ও দেখাশোনা করার জন্য প্রতিটি কারাগারে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। কারা আবাসিকদের শারীরিক সুস্থতা সুনিশ্চিত করতে বিনামূল্যে প্রতিটি কারা আবাসিকদের চিকিৎসা সরকারী হাসপাতালে প্রদান করা হয়। কারা আবাসিকরা যাতে তার বাড়ীর লোকজন, আত্মীয়, বন্ধু পরিজনদের সাথে কথা বলতে পারেন তার জন্য কারাগারে টেলিফোনের মাধ্যমে কথা বলার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। এটা কারা দপ্তরের একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য দ্যা ত্রিপুরা ভিক্টিম কমপেনসেশন স্কিমে কারা দপ্তরের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হয়। আইজি প্রিজন অদিতি মজুমদার আরও বলেন কারা আবাসিকদের বাঁশবেত, বেকারি, ফুল ও সব্জি চাষ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর ফলে কারাবাস শেষে জীবিকা নির্বাহ ও সমাজ জীবনে তাদের বিশেষ অবদান রাখা সহজতর হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কারা দপ্তরের সচিব তাপস রায় উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন