আগরতলা, ২১ জানুয়ারি : ত্রিপুরার ইতিহাসে আজকের দিনটি গর্বের ও আনন্দের দিন। এই দিনটিকে সামনে রেখে ত্রিপুরা রাজ্য ক্রমাগত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং হলে শনিবার ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য দিবস- ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা একথা বলেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, এদেশ তথা এই রাজ্যের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে একাগ্রতার সঙ্গে সকলে মিলে কাজ করাই হবে আমাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। তবেই এই দিনটি উদযাপন যথাযথভাবে সার্থকতা লাভ করবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকেও এই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে এমবিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চেন্সেলর প্রফেসর সত্যদেও পোদ্দার ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য দিবস দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা সহ প্রাচীন ত্রিপুরার ইতিহাস ও গণতন্ত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আজ ত্রিপুরার জনগণের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, পবিত্র এবং অনুপ্রেরণার দিন।
ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিপি অমিতাভ রঞ্জন বলেন, ত্রিপুরার পূর্ণরাজ্য দিবসের গৌরব উজ্জ্বল দিনে এরাজ্যের প্রগতির জন্য আমরা সকলে মিলে কাজ করে যাব। আজ সকলের এই হোক অঙ্গীকার। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিকাঠামো, কৃষিক্ষেত্র, মৎস্য চাষে, প্রাণী সম্পদে, মানব সম্পদে, শিল্পে ও সংস্কৃতির বিকাশে আজ ত্রিপুরা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। আগামী দিনে আমরা যেন আরও এগিয়ে যেতে পারি আমরা এই শপথই গ্রহণ করব।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সচিব পুর্ণিত আগরওয়াল, বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র, শিক্ষা দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব ব্রীজেশ পান্ডে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন নাদপীঠ সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ। এছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ৫১তম ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্য দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন