আগরতলা, ১৫ ফেব্রুয়ারি : বুধবার রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীগণ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন । আগামীকাল ত্রয়োদশ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণের জন্য এদিন ভোটকর্মীরা নিজ নিজ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। সদর মহকুমার ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ভোটকর্মীদের উমাকান্ত একাডেমি থেকে পাঠানো হয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে এদিন দুপুরে উমাকান্ত একাডেমি মাঠ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ভোটকর্মী, নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে কথা বলেন।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি জানান, পূর্বে রাজ্যে এমন অনেক ভোটকেন্দ্র ছিল যেখানে ভোটকর্মীদের পৌঁছানোর জন্য দুই ও তিনদিন আগে রওনা দিতে হত। কিন্তু এবছর প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রই মূল রাস্তা থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। ফলে ভোট গ্রহণ কর্মীদের পাশাপাশি ভোটারদেরও বেশি পথ হাঁটতে হবে না। প্রত্যেকটি পোলিং স্টেশনে বয়স্ক, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য আলাদা ভোটার লাইন থাকবে। তাছাড়াও র্যাম্প, রেলিং, পানীয়জল, শৌচালয়, বিশ্রামাগার, বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রযুক্তিগতভাবে নির্ভুল এবং নির্বিঘ্নে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষিত করেছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আশা প্রকাশ করেন ১০০ শতাংশ সঠিকভাবে ভোট কার্য সম্পন্ন হবে।
সাংবাদিকদের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরও জানান, জরুরী পরিষেবার জন্য মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে রাজ্যের সকল ভোটারদের সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বর্তমানে রাজ্যে ৪০০ কোম্পানী প্যারামিলিটারি ফোর্স এবং প্রায় ২০ হাজার টিএসআর ও ত্রিপুরা পুলিশ রয়েছে। সারা রাজ্যে প্রায় ৫৬ হাজার ভোটকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, গাড়ির চালক, সহকারি ও ভোটের কাজে নিযুক্ত কর্মী পোষ্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। প্রাথমিক হিসেবে প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোটার পোষ্টাল ব্যালটে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন