Tripura Assembly Election 2023 : আমবাসা ও উদয়পুরে বিজেপির বিজয় সংকল্প সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Tripura Assembly Election 2023 : আমবাসা ও উদয়পুরে বিজেপির বিজয় সংকল্প সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

Share This

 


আগরতলা, ১১ ফেব্রুয়ারি : কংগ্রেস সিপিএমের কুশাসনে একটা সময় ত্রিপুরাতে বিকাশ থমকে গিয়েছিল। শুধু ভয় ডর, হিংসার রাজনীতি কায়েম ছিল এখানে। সেই জায়গা থেকে ত্রিপুরার মানুষকে মুক্তি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগে ত্রিপুরায় কমিউনিস্টদের জমানায় ছিল চাঁদা সংস্কৃতি। গাড়ি কিনলে, বাড়ি বানালে, দোকান খুললে ক্যাডারদের চাঁদা দিতে হতো। তিন দশক ধরে চাঁদা ও লুটের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল ওরা। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ত্রিপুরার জনসাধারণকে সেই কালো দিন থেকে মুক্ত করেছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা আগে শুধু বেছে বেছে বামপন্থীদের পাইয়ে দেওয়া হতো। ভাজপার জমানায় সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করেন। এটাই ভাজপা এবং কমিউনিস্টদের মধ্যে পার্থক্য। শনিবার ধলাই জেলার আমবাসায় ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত বিজয় সংকল্প জন সমাবেশে জনতার উদ্দেশ্যে সম্বোধন করতে গিয়ে এভাবেই বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 



             ত্রিপুরা বিধানসভা মহারণের প্রাক মুহূর্তে আরো একটি স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হলেন রাজ্যের মানুষ। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দিনটি ঐতিহাসিক হয়ে থাকলো দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুই দুটি জনসভা। ধলাই জেলার আমবাসায় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সমাবেশ যদি ঐতিহাসিক হয় তবে গোমতী জেলার উদয়পুরে আয়োজিত জন সমাবেশও কোন দিক দিয়ে কম হয়ে থাকলো না। এদিন সকাল থেকেই ধলাই জেলা, উত্তর জেলা, উনকোটি জেলা, খোয়াই জেলা, পশ্চিম জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার আবাল বৃদ্ধ বনিতা ধলাই জেলার সদর আমবাসায় জড়ো হয় প্রধানমন্ত্রীকে একঝলক দেখা ও তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য। জন সমাবেশের আশপাশে শুধু একটাই আওয়াজ উঠতে থাকে। সেটা অবশ্যই মোদি মোদি মোদি। কেউ মোদির মাস্ক লাগিয়ে এসেছেন, তো কেউ মোদি কুর্তা গায়ে জড়িয়ে এসেছেন। আর শিশু থেকে শুরু করে প্রায় সকলের হাতে ধরা ছিল মোদির ছবি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও সমাবেশ স্থলে এসে আমজনতার এই ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন। 

             

           সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে এটাই আমার প্রথম জনসভা। সভায় যেদিকে নজর যাচ্ছে সেদিকেই লোক আর লোক। এই সমাবেশ জানান দিচ্ছে ত্রিপুরায় ফের ভাজপা সরকার আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকাশের ডাবল ইঞ্জিন আর থামবে না। ত্রিপুরার দিকে দিকে শুধু আওয়াজ উঠছে ফের একবার বিজেপি সরকার। ত্রিপুরায় কংগ্রেস সিপিএম অনেক বছর ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তাদের সময়ে বিকাশ থমকে গিয়েছিল। বিজেপির আমলেই ত্রিপুরার বিকাশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি সরকারের সময়ে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন নির্বাচনে সব দল নিজেদের ঝান্ডা লাগাতে পারে। যেটা আগে সম্ভব ছিল না। আগে সব ক্ষেত্রেই সিপিএম ক্যাডারদের চাঁদা দিতে হতো। সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও শুধু বামপন্থীরাই ভোগ করতো। এখন ভাজপার শাসনে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাও উন্নত হয়েছে। মহিলাদের স্বশক্তিকরনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ত্রিপুরা। আগে এই ধলাই জেলা সবচেয়ে পেছনে থাকা জেলা ছিল। ভাজপা সরকার ক্ষমতায় এসেই এই জেলার উন্নয়নে অন্যতম অগ্রাধিকার দিয়েছে। 

           


           প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি যা বলে সেটা করে। ত্রিপুরার গরীব মেহনতি, যুবক, মা বোন, জনজাতি অংশের মানুষ সকলের জন্য সংকল্পবদ্ধ ভাজপা। বিজেপি মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে। তাই ত্রিপুরার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের পদ্ম চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের সার্বিক বিকাশের জন্য হীরা মডেলের কথা বলেছি। সেই দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা। এখন ত্রিপুরায় জাতীয় সড়কের উন্নয়ন হচ্ছে, ইন্টারনেট পরিষেবার উন্নয়ন হচ্ছে, রেলওয়ে পরিষেবার উন্নয়ন হচ্ছে। তদুপরি বিমান পরিষেবায় উন্নয়ন হচ্ছে। এর একমাত্র উদাহরণ আগরতলার এমবিবি এয়ারপোর্ট। আগামীতে ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়ে হতে যাচ্ছে। এতে ত্রিপুরার আর্থিক বিকাশ যেমন ঘটবে তেমনি কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে সব ধরণের বিকাশ হবে এই অঞ্চলে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুফল ভোগ করছেন ত্রিপুরার জনসাধারণও। যেটা আগে চিন্তাও করা যেত না। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকৃত অর্থে মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। 

           

             সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সার্বিক কল্যাণে চিন্তা করেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির বিকাশ না হলে দেশ এগিয়ে যাবে না। সেটাই প্রধানমন্ত্রীর ভাবনা। এদিন ফের একবার কংগ্রেস সিপিএমের অশুভ জোট নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীদের আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। 

             

              জন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা, পরিমল দেববর্মা, প্রার্থী বিকাশ চাকমা, টিংকু রায়, বিকাশ দেববর্মা, সুচিত্রা দেববর্মা, জয়ন্তী দেববর্মা সহ রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতৃত্ব। 

         


    

               এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দিনের দ্বিতীয় বিজয় সংকল্প জন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় গোমতী জেলার সদর উদয়পুরে। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়, রামপদ জমাতিয়া সহ  অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী প্রধান বক্তার বক্তব্যে ত্রিপুরাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যের মানুষের সহযোগিতা চান। হীরা মডেলে ত্রিপুরাকে আরো এগিয়ে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। এদিন সমাবেশে প্রচুর সংখ্যায় নারী পুরুষের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো।



https://brahamakundabartaa.blogspot.com/2023/02/tripura-assembly-election-2023_10.html

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad