আগরতলা, ২৮ মার্চ : ব্রহ্মকুন্ড মেলার মধ্য দিয়ে রাজ্যের ঐতিহ্যময় জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের সম্প্রীতি এবং মিশ্র সংস্কৃতির বার্তা আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে চাই। এই মেলা হচ্ছে জাতি জনজাতি মানুষের এক মিলন ক্ষেত্র। সম্প্রীতির এই বহমান ধারাকে অক্ষুন্ন রাখতে হবে। মঙ্গলবার ব্রহ্মকুন্ডের সাংস্কৃতিক মঞ্চে তিনদিনব্যাপী অশোকাষ্টমী উপলক্ষে ব্ৰহ্মকুন্ড মেলা- ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া একথা বলেন। এদিন এই মেলার উদ্বোধন করেন টিটিএএডিসির এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা।
অনুষ্ঠানে সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, সরকার সমস্ত ধর্মীয় সংস্কৃতি ও নানা সামাজিক সংস্কৃতিকে সমদৃষ্টিতে দেখে। সরকারি উদ্যোগে রাজ্যে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মেলা ও উৎসবের আয়োজন করা হয়। সমবায় মন্ত্রী আরও বলেন, ব্রহ্মকুন্ড এ রাজ্যের এক ঐতিহ্যময় পর্যটন ক্ষেত্র। এই পর্যটন ক্ষেত্রকে আগামীদিনে আরও উন্নতভাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তিনি এলাকার সকল স্তরের মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে তিনদিনব্যাপী এই মেলা উপভোগ করার আহ্বান জানান।
তিনদিনব্যাপী ব্রহ্মকুন্ড মেলার উদ্বোধন করে এমডিসি রবীন্দ্র দেববর্মা ব্রহ্মাকুন্ড মেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা এবং হেজামারা বিএসির চেয়ারম্যান সুনীল দেববর্মা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী বিনোদ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা। উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীণা দেববর্মা।
অশোকাষ্টমী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী ব্রহ্মকুণ্ড মেলার উদ্বোধনী সন্ধ্যায় পুন্যার্থীদের সমাগম....
Brahamakunda Bartaa এতে পোস্ট করেছেন মঙ্গলবার, 28 মার্চ, 2023
উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ। পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উল্লেখ্য যে, তিনদিনব্যাপী ব্রহ্মকুন্ড মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই সন্ধ্যায় আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন এবং ব্রহ্মকুন্ড মেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন