আগরতলা, ১২ মার্চ : গোমতী জেলার অম্পিনগরে শনিবার ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় উৎসবে অতর্কিত হামলায় আহতদের মধ্যে গুরুতরদের রবিবার জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বে রবিবার এক প্রতিনিধিগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলটি ঘটনায় আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সহসভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়া, পার্টির জনজাতির মোর্চার প্রদেশ সভাপতি তথা মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং বিধায়ক রঞ্জিত দাস।
শাসক দলের এই প্রতিনিধি দলটি এলাকার সফর শেষে রাজ্য নেতৃত্বকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেন বলে বিজেপির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন তিপ্রামথা নামধারী সশস্ত্র দুষ্কৃতীকারীরা এই হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলেও রবিবার ৪ জনকে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, পার্টির তরফ থেকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত আক্রমণকারীদের সুনির্দিষ্ট নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পার্টির প্রদেশ সভাপতির আহতদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি এ কাপুরুষিত হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
এদিকে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন বিজেপির নলছড় কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ দাস। অভিযোগ শনিবার ১১ মার্চ সিপিআইএম আশ্রিত দুস্কৃতিরা তাঁকে প্রকাশ্যে মারধোর করে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর দুই পুত্রও দুষ্কৃতিদের হাতে মার খায়। এই ঘটনা শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর নিজ গ্রাম চন্দনমুড়ার বিদ্যালয়ের মাঠে। অভিযুক্ত লিটন দাস, সায়ন দাস, বিক্রম দাস, অভিনাশ দাস সহ আরও দুই তিনজনের বিরুদ্ধে নলছড় কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় তিনি নিজেও হতবাক। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি রীতিমতো প্রানভিক্ষা চাইলেন।
অপরদিকে শনিবার রাতে বিলোনিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের জয়নগর ৩৬ নং বুথ এলাকার বিজেপি পৃষ্ঠাপ্রমুখ কান্তি লাল দে'র দোকানে আগুন লাগায় দুষ্কৃতিরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়ার দমকল বাহিনীর কর্মীদের। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি, সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায় দোকানঘর। রান্না ঘরেরও বেশ কিছু অংশ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আরেকটি ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় খোয়াই ধলাবিল কলোনি সরকার পাড়ায় এক বাম কর্মীর বসতঘর ও মোটরসাইকেলে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন