আগরতলা, ২৬ এপ্রিল : দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাজ্যে একটি আন্তর্জাতিক মানের আয়ুর্বেদ ও যোগা বিদ্যালয় গড়ে তোলার উপর মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারুমে মৈত্রী সেতু দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে ত্রিপুরা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার গেটওয়েতে পরিণত হবে। এতে রাজ্যে বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি হবে। ত্রিপুরার পাহাড় উপত্যকা ঔষধি গাছ গাছালিতে ভরপুর। এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরির ইউনিটও স্থাপনের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বুধবার নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে 'ওয়ান আর্থ-ওয়ান হেলথ অ্যাডভান্টেজ হেলথ কেয়ার ইন্ডিয়া ২০২৩' শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের নীতিভাবনা 'বসুধৈব কুটুম্বকম'-এর অনুসরণে আমরা সবসময়ই সমগ্র বিশ্বের মঙ্গল কামনায় কাজ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ধারায় বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন 'ওয়ান আর্থ-ওয়ান হেলথ' অর্থাৎ প্রাণীজগৎ সহ সমস্ত জীবনের সুস্বাস্থ্য কামনায় কাজ করার নীতি। এই নীতি রোগ প্রতিরোধ, ব্যয় সংকোচন, খাদ্য নিরাপত্তায় উন্নতিলাভে ও প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করবে। দু'দিনের এই অনুষ্ঠানের আজ উদ্বোধন হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরা স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক পরিবর্তনশীল ও প্রগতিশীল নীতি নিয়ে কাজ করছে। প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ থেকে বহু রোগী ত্রিপুরায় আসেন চিকিৎসা করতে। যদি রাজ্যে বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে উঠে এতে বাংলাদেশের মানুষও উপকৃত হবেন। তারা কম খরচে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক্ষেত্রে আয়ুষের সাথে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সমন্বয় সাধনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এই পরিষেবার বেশ চাহিদা আছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কাছে। তাই ত্রিপুরায় একটি বর্ডার মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন হাজার হাজার বছর আগে থেকেই ভারতের লক্ষ্য সবাই যাতে সুখে থাকে, সবাই যাতে নীরোগ থাকে, ভালো চিন্তা করতে পারে, এই লক্ষ্যে কাজ করা। এই প্রসঙ্গে তিনি বৈদিক মন্ত্র "সর্বে ভবন্তো সুখিনা .." পাঠ করেন। তিনি বলেন 'ওয়ান আর্থ ওয়ান হেলথ' এই ভাবনার মধ্যেও ভারতবর্ষের প্রাচীন এই চিন্তা ধারা লুকিয়ে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. মনসুখ মান্ডবিয়া, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং, নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভি কে পাল, অ্যাপোলো হাসপাতাল গ্রুপের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. সংগীতা রেডিড এবং ফিকির জেনারেল সেক্রেটারি শৈলেশ পাঠক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন