আগরতলা, ২৭ এপ্রিল : মাত্র এক সপ্তাহের বিশেষ অভিযানে রাজ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়লো প্রচুর পরিমাণে ড্রাগস জাতীয় নেশাদ্রব্য। সেই সাথে গ্রেপ্তার হয়েছে আরো একাধিক অভিযুক্ত। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল সাত দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ড্রাগসের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। এসকল অভিযানে ৩৮৮ গ্রাম নিষিদ্ধ হেরোইন, ২ হাজার ৩৪ কেজি শুকনো গাঁজা, ৫ হাজার ৪০৪টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৭২৪ বোতল কফ সিরাফ পুলিশের হাতে বাজেয়াপ্ত হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৫১ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৭৫ টাকা।
এই গোটা অভিযানে মোট ৯টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং মোট ২৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে পুলিশ মোট ১ হাজার ৬৪টি অভিযান চালায় এবং ৫০টি মামলা নথিভুক্ত করে। এরমধ্যে ট্রেন সহ মোট ৫৩ হাজার ২৯৪টি গাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এগুলি ছাড়াও নেশাদ্রব্যের বিরুদ্ধে মোট ৩৭৫টি সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানো হয়। এর মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে মাদকের বিরুদ্ধে মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কতটুকু জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ড্রাগস মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে সকল অংশের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। আমজনতার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন - যে কোনও এলাকা বা অলিগলিতে মাদকের ব্যবহার সম্পর্কিত যে কোনও ধরণের কার্যকলাপের বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনকে জানানোর। যারাই এই ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসবেন তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। তবে মাদক মোকাবিলায় শুধুমাত্র রাজ্য নয়, কেন্দ্রীয় সরকারও একই নীতি গ্রহণ করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সর্বদা মাদকমুক্ত ভারতের কথা বলেছিলেন।
উল্লেখ্য রাজ্যের ছাত্র-যুবদের মাদকের মারন নেশা থেকে বাঁচাতে বিশেষ জোর দিয়েছে প্রশাসন। মাদকাসক্ত যুবদের চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এরমধ্যে অন্যতম নরসিংগড়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মাদক মুক্ত কেন্দ্র চালু করা। ডাক্তার, নার্স, কমিউনিটি হেলথ অর্গানাইজার এবং প্যারামেডিক্যাল স্টাফদের জন্যও মাদকাসক্তি মোকাবিলায় বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সামিল করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন