Himangshu Mohan Choudhury : বিছানায় শয্যাশায়ী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আড়াই লক্ষ শরণার্থীর অভিভাবক, খোঁজ নিলেন মু্খ্যমন্ত্রী, খবর নেই বাংলাদেশের - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Himangshu Mohan Choudhury : বিছানায় শয্যাশায়ী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আড়াই লক্ষ শরণার্থীর অভিভাবক, খোঁজ নিলেন মু্খ্যমন্ত্রী, খবর নেই বাংলাদেশের

Share This


 আগরতলা, ২০ এপ্রিল : শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ত্রিপুরা থেকে প্রথম পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত সিভিল সার্ভিস আধিকারিক হিমাংশু মোহন চৌধুরী। খবর পেয়ে তাঁর বড়দোয়ালী স্থিত বাসভবনে ছুটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পরিবার প্রিয়জনদের কাছ থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের বিস্তারিত খোঁজখবর করলেন । তৎক্ষণাৎ গঠন করলেন মেডিকেল টিম।


উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ত্রিপুরার সোনামুড়া সীমান্তে আড়াই লক্ষ শরণার্থীকে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে হিমাংশু মোহন চৌধুরী ভারত বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ওই সময়ে শ্রী চৌধুরী ছিলেন সোনামোড়ার এসডিও। তাঁর এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ভারত সরকার ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বাংলাদেশের অনবদ্য বন্ধুর সম্মানে ভূষিত করে।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আশ্রয় গ্রহণ করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সহ সেদেশের সাধারণ শরণার্থী পরিবার। কাতারে কাতারে শরণার্থীরা সোনামুড়া সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় গ্রহণ করে। একসময় এই শরণার্থীর সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে যায় । ওই সময়ে ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন সিভিল সার্ভিস অফিসার তথা সোনামোরার এসডিও হিমাংশু মোহন চৌধুরী। তিনি প্রত্যেকের নিরাপত্তা, থাকা, খাওয়া সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করেন। একজন সিভিল সার্ভিস অফিসারের এই মানব দরদী ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয় গোটা উপমহাদেশ।


মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এসডিও হিমাংশু মোহন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত তাজউদ্দিন আহমেদের পরিবার। তাঁর সেবার কথা এখনো ভুলেনি ওই পরিবার । ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রয়াত তাজ উদ্দিন আহমেদের কন্যা তৎকালীন বাংলাদেশের এমপি সেমিন হোসেন রিমি আগরতলায় এসে হিমাংশু মোহন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর পরিবার এবং বাংলাদেশের হয়ে কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। 


বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোনামোড়া সীমান্তে মুক্তিযোদ্ধা সহ লাখো লাখো শরণার্থীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিমাংশু মোহন চৌধুরী স্থাপন করেছেন, তার কৃতিত্ব স্বরূপ বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে যতটুকু সম্মাননা প্রাপ্য, তেমন একটা তাঁর ভাগ্যে জোটেনি বলে অভিমত রাজের অভিজ্ঞ মহলের। এমনকি সাধারণ বাংলাদেশ বন্ধু সম্মানে ভূষিত এই ব্যক্তিত্বের  অসুস্থতা কালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কোন খোঁজখবর রাখতেও দেখা যায়নি।



Accident : স্করপিওর সাথে পালসারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত্যু ২ । আমবাসায় ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে মৃত্যু হল বিএসএফ জওয়ানের 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad