আগরতলা, ৫ মে : মাঙ্গলিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আজ নবনির্মিত এমএলএ হোস্টেলের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা ও অন্যান্য বিধায়কগণ এই গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিক গৃহপূজনের পর নব নির্মিত এমএলএ হোস্টেলের কনফারেন্স হলে এক সভার আয়োজন করা হয়।
অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত এই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজনীতিতে মত পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু এর বাইরেও একটা জগৎ আছে। নতুন এই বিধায়ক আবাসে সব দলের বিধায়করা এক সাথে থাকতে পারবেন। এটা নিঃসন্দেহে একটি নতুন সুযোগ। মুখ্যমন্ত্রী নতুন এই বিধায়ক আবাসটির যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিধায়ক আবাসে থাকার ক্ষেত্রে একটি রুলস প্রণয়নের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন। নতুন এই বিধায়ক আবাস নির্মাণের সাথে যুক্ত সকলকে তিনি অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ এমএলএ হোস্টেলের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। পরিষদীয় মন্ত্রী জনগণের জন্য বিধায়কদের কাজের পরিধির কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের একসাথে থাকার বিষয়টি রাজ্যের ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্তমূলক বলে উল্লেখ করেন। বিধনসভার বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা তাঁর ভাষণে নতুন এই আবাসটির রক্ষনাবেক্ষণ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল৷ নতুন এই বিধায়ক আবাসে লাইব্রেরী, রিডিংরুম, তিনটি মিটিং হল, মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা জিম, দুটি কমন ডাইনিং রুম ও কিচেন, লবি, রিশেপসন, অপেক্ষমান কক্ষ এবং পেপার রিডিং রুম ও ইনফরমেশন সেন্টার রয়েছে। তাছাড়াও এয়ারকন্ডিশন, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, লিফট, অভ্যন্তরিন রাস্তা, ওয়াচ টাওয়ার ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা রয়েছে। নবনির্মিত বিধায়ক ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকার অধিক। এদিন বিধায়কদের হাতে নবনির্মিত ভবনের চাবি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, নবনির্মিত বিধায়ক আবাসনে ৪৫ জন বিধায়ক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন