বিশালগড়, ২৮ জুলাই : ডেঙ্গু জ্বরের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সিপাহীজলার বিস্তীর্ণ জনপদগুলিতে, অসমর্থিতভাবে এমনই খবরে নড়ে চড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দপ্তর । প্রচার রয়েছে এই জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৭০ জন। সোনামুড়া মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি বলে খবর। মনারচক, ইন্দুরিয়া, ধনপুর, শান্তিনগর, সাহপুর, মাইক্রোসা, তৈবান্দাল, কাঁঠালিয়া, নিদয়া, মেলাঘর, বক্সনগরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও গোটা বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না প্রশাসন । শুক্রবার জরুরী ভিত্তিতে সিপাহীজলা জেলা সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা । সেখানে গিয়ে প্রথমেই তিনি সিপাহীজলা জেলা শাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে জেলা ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন । এতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে জানালেও, এখানে যে মুখ্য আলোচ্য বিষয় ছিল ডেঙ্গু, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
SSO-IDSP along with State Microbiologist & State Entomologist visited at Dhanpur PHC for observation, monitoring & surveillance of Dengue early warning signals on 25.07.23@PMOIndia @tripura_cmo @JKSinhaIAS @SubhasisTcs @MoHFW_INDIA @WHO @NHSRC_India pic.twitter.com/PoS2hmi75E
— Nhm.tripura (@nhm_tripura) July 26, 2023
স্থানীয় সূত্রের খবর রয়েছে সোনামুড়া মহকুমার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র মহকুমা সহ জেলা হাসপাতালগুলিতে গত আট দিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এসেছিল কয়েক শতাধিক রোগী। আক্রান্তদের পরীক্ষা করে ৭০ জন রোগীর দেহে ধরা পড়ে ডেঙ্গু। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সোনামুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৮ জন। জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলিতে প্রতিদিন জ্বর নিয়ে ভিড় জমাচ্ছে রোগীরা। তবে তাদের সকলেই যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এমনটা নয় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত । তবে সোনামুড়া, কমলাসাগর, মতিনগর ও ধনপুরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সিপাহীজলা জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি স্বাস্থ্য টিম আক্রান্ত জনপদগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে। জেলা ও মহকুমা প্রশাসনও ডেঙ্গু নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই ঝড় যাতে আর কোথাও ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকেই দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন।
চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, এনিফিলিশ নামক স্ত্রী জাতীয় মশা এ রোগের বিস্তার ঘটায়। মূলত সোনামুড়া, বক্সনগর, মেলাঘর সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলগুলি জঙ্গলে ঢাকা, নালা, নর্দমা ও ড্রেন অপরিষ্কার থাকায় সেখানে বংশ বিস্তার করে মশা। ওই অঞ্চলে মশার কামড়ে জ্বর সহ সারা শরীরে ব্যথা দেখা দেওয়ায় আক্রান্তরা স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ছুটে যায়। আর রক্ত পরীক্ষা করতেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গু।
Blood Donation Camp : আগরতলা পুরনিগমের প্রধান কার্যালয়ে রক্তদান শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন