আগরতলা, ২৫ নভেম্বর : মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা দেশের সাথে রাজ্যেও সংবিধান দিবস পালন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল সকাল ১১ টায় রাজ্যের স্কুল, কলেজ, অফিস সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করা হবে। আজ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আইন দপ্তরের সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য্য এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, এবছর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছর উপলক্ষ্যে সারা বছর ব্যাপী রাজ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধান দিবস উদ্যাপনের অঙ্গ হিসাবে আগামীকাল সকাল ৭টায় উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে এক পদযাত্রাও অনুষ্ঠিত হবে। পদযাত্রা উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ সংলগ্ন ড. বি. আর. আম্বেদকরের মর্মর মূর্তির নিকট সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে। এই পদযাত্রায় সকল অংশের জনগণের উপস্থিতি তিনি প্রত্যাশা করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫তম বছর উদ্যাপনের অঙ্গ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তর সংবিধান দিবস পালনে তাদের নিজস্ব কর্মসূচি প্রস্তুত করে রাজ্য আইন দপ্তরের কাছে পাঠাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য্য রাজ্যে সংবিধান দিবস পালনে রাজ্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক শুভেচ্ছা বার্তায় রাজ্যপাল বলেছেন, এই দিনটিতে আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল ভিত এবং নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্বের ভিত্তি হিসেবে ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিন হিসেবে স্মরণ করি। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সংবিধান প্রণেতারা কি উদ্দেশ্য ও মূল্যবোধ নিয়ে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন। এতে নিহিত রয়েছে ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের ভাবনা। এই উপলক্ষে আমরা দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলন ও আত্মত্যাগকেও স্মরণ করি।
রাজ্যপাল বলেন, আমাদের সংবিধান শুধুমাত্র একটি আইনী দলিল নয়, এক ঐক্যবদ্ধ ও প্রগতিশীল সমাজের পথপ্রদর্শকও। সংবিধান প্রতিটি ব্যক্তিকে ক্ষমতায়িত করে, তার আত্মমর্যাদা ও স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করে। আসুন আমরা অন্যদের অধিকারকে মর্যাদা দিয়ে দায়িত্ববান নাগরিকের ভূমিকা পালন করি এবং মহান রাজ্য ও দেশ গঠনের কাজে যোগদান করি। এই দিনটিতে সংবিধানের নীতিমালাকে উর্দ্ধে তুলে ধরার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে এবং সকলের জন্য এক উজ্জ্বল ভবষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
Blood Donation : ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রক্তদান উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন