নতুন দিল্লি, ১৭ নভেম্বর : ভারতের প্রথম দূরপাল্লার হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। প্রতিরক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন DRDO গতকাল ওডিশার উপকূলে ডক্টর এ পি জে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এই উৎক্ষেপণ চালানো হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র সহ দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন। বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র দেশের হাতে এই সামরিক প্রযুক্তি রয়েছে। ভারত সেই দেশগুলির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভাবনীয় এই সাফল্যের জন্য DRDO, সশস্ত্র বাহিনী এবং শিল্প মহলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন নজরদারি ব্যবস্থায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের সংকেত ধরা পড়ে। এই সব সংগৃহীত তথ্য থেকেই ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা গেছে।
জানা গেছে, এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সেনা, বায়ুসেনা বা নৌবাহিনীর যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে। এই মিসাইলটি বিভিন্ন পেলোড বহন করে ১৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই মিসাইলটি পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করতে হাত লাগিয়েছিল হায়দরাবাদের ডঃ এপিজে আবদুল কালাম মিসাইল কমপ্লেক্স। এছাড়াও ডিআরডিও-র অন্যান্য আরও ল্যাব এবং ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারও সাহায্য করে এই হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির ক্ষেত্রে। বিজ্ঞানীদের দাবি এই হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য গতি নয়, বরং কয়েকশো কিলোমিটার দূরে থাকা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখঁতু ভাবে আঘাত হানার অন্যন্য ক্ষমতা। এদিকে যে কোনও ধরনের পেলোড বহন করতে পারায় এই মিসাইল আরও কার্যকরী। আশা করা হচ্ছে, কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে নতুন এই দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে।
Transport Minister : রাজ্যের আইটিআই গুলির উন্নতিতে রাজ্য সরকারের সাথে কাজ করবে 'টাটা'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন