বিলোনীয়া, ৩০ নভেম্বর : ছাত্রছাত্রীদের শুধুমাত্র পড়াশুনা করলেই হবে না। পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিভিন্ন কো-কারিকুলাম কর্মকান্ডেও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ করতে হবে। তাতে শরীরও মন দুটিরই সঠিক বিকাশ ঘটবে এবং জীবনে সফল হওয়ার পথ সুগম হবে। তাই সরকার রাজ্যে গুণগত শিক্ষার সম্প্রসারণে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বুধবার বিলোনীয়ার বড়পাধারী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ত্রিতল পাকা ভবনের দ্বারোদঘাটন করে ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, বিদ্যাজ্যোতি স্কুল চালু হওয়ার ফলে আমাদের রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরাও জাতীয় স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। বড়পাথারী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা।
বড়পাথারী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের ত্রিতল ভবনের উদ্বোধনের আগে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা রাজনগর ব্লকের উত্তর রাঙামুড়াস্থিত আজগর রহমানপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবনির্মিত পাকা ভবনেরও উদ্বোধন করেন। এই ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঋষ্যমুখ দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ন ৩০ শয্যাবিশিষ্ট দ্বিতল জনজাতি ছাত্রাবাসেরও উদ্বোধন করেছেন। এই জনজাতি ছাত্রাবাসটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৪৪ টাকা।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা ঋষ্যমুখ ব্লক সংলগ্ন অমৃত সরোবরের উদ্বোধন করেন। ১.৭৬ একর এই সরোবরের জল ধারণ ক্ষমতা ১৯ হাজার কিউবিক মিটার। উদ্বোধন শেষে মুখ্যমন্ত্রী সরোবরের তীরে নিম গাছের চারা রোপণ করেন এবং উজ্জয়িনা সিএলএফের হাতে সরোবরের লিজের কাগজ তুলে দেন। অমৃত সরোবরটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
অনুষ্ঠানগুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক শংকর রায়, জেলাশাসক ও সমাহর্তা সাজু বাহিদ এ, পুলিশ সুপার অজিত প্রতাপ সিং ভারতচন্দ্রনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পুতুল পাল বিশ্বাস, ঋষ্যমুখ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বকুল দেবী দেবনাথ, সমাজসেবী রণজিৎ সরকার, জেলা শিক্ষা আধিকারিক সুবীর মজুমদার প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন