ছৈলেংটা, ০১ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গ দর্শনে ভারতীয় জনতা পার্টি পরিচালিত বর্তমান রাজ্য সরকার চাইছে 'প্রতি ঘরে সুশাসন' পৌঁছে দিতে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই সরকার হাতে নেয় 'প্রতি ঘরে সুশাসন' অভিযান কর্মসূচি । কিন্তু শারদীয় দুর্গোৎসব ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এই কর্মসূচির উপর কিছুটা প্রভাব পড়ে । তাই রাজ্য মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই কর্মসূচি আগামী ২৫ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করার। মঙ্গলবার ছৈলেংটায় বিজেপি ছামনু মন্ডল আয়োজিত 'জন আশীর্বাদ যাত্রায়' বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক ও সাহা। তিনি বলেন, আগের সরকারের সময়ে যেরকম দলতন্ত্র কায়েম হয়েছিল, তার থেকে এখন মুক্তি পেয়েছে মানুষ । তাই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি মানুষের আবেগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। গোটা দেশে এখন ১৭ কোটির বেশি ভারতীয় জনতা পার্টির মেম্বার আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বিরোধীদলের সমালোচনাকে নস্যাৎ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারের সময়ে রাজ্যে কিরকম আইন-শৃঙ্খলা ছিল তার উদাহরণ এই ছৈলেংটাবাসী নিজেরাই। এখানে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তা নিশিকান্ত চাকমাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা মানুষ জানেন। বর্তমান সরকার আইনের শাসন কায়েম করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে । আগের সরকারের সময়ে রাজ্যে কিরকম গাঁজা চাষ হতো তা সকলের জানা আছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, "নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।"
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন বিকাশ মুখী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি প্রথমেই সামাজিক বাধা দুই হাজার টাকার কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি আরও ৩০ হাজার ভাতা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি । জনজাতি সমাজ পতিদের আগেই দুই হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী । একই সাথে তিনি বলেন বর্তমানে সরকার জনজাতি দরদী সরকার।
ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সময়ে চাঁদা সংস্কৃতি থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার । স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুপার স্পেশালিটির সকল সুবিধা জিবি হাসপাতালে করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে হেল্থ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টারে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি চিকিৎসকদের চাকুরি ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকার বাবা ও ছেলেকে এক পদে চাকরি করার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়েছে। এদিনের সমাবেশে প্রচন্ড রৌদ্রকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের বিশাল উপস্থিতি দেখে তাতে আপ্লুত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জামাতিয়া, বিধায়ক শম্ভুলাল চাকমা, দিবাচন্দ্র রাঙ্খল সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন