মনুঘাট, ০১ নভেম্বর : বামপন্থীদের আমলে বছরের বছর বেকার যুবক-যুবতীদের বঞ্চনার পর, যখন চাকরি দেয়া হয়, সেই চাকরিও কোর্টের নির্দেশে চলে যায় । আমরা এর জন্য দায়ী না । আজ মনুঘাটে বিজেপির করমছড়া মন্ডল আয়োজিত 'জন আশীর্বাদ সমাবেশ'-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ১০৩২৩ কে নিশানা করে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন আমরা এই চাকরিগুলো দেইনি, চাকরি খাইওনি। দলীয়করণ ও অনিয়মের মাধ্যমেই এই চাকরি হয়েছিল । তিনি বামপন্থীদের এক হাত নিয়ে বলেন, "দলীয়করণ কাকে বলে তা জানতে হলে, বামপন্থীদের ছাড়া আর কোন ইনস্টিটিউশন ভালো বোঝাতে পারবে না।"
১৯৭৮ সালে কিভাবে রাজ্যে বামপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তখন কংগ্রেসের সুযোগ সন্ধানীদের হাতে করে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বামফ্রন্ট । তারপর ওই সুযোগ সন্ধানীদের লেং মেরে সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করে এই দল। তিনি বলেন আগে মুখে গরিবের সরকার ছিল না, ছিল গরীব বানানোর সরকার। তিনি উপস্থিত সবাইকে 'ভিশন ২৩' কে সামনে রেখে কাজ করার আহ্বান রাখেন । তিনি বলেন এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য ৬০/৬০ । তা অর্জন করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার অল্প সময়ে রাজ্যের স্বার্থে অধিক কাজ করতে সক্ষম হয়েছে । ৩৫ বছরে বামপন্থীদের আমলে আমরা সন্ত্রাসের সরকার দেখেছি। অথচ আজ তাঁরা যে অভিযোগ তুলছে, তাঁদের আমি বলতে চাই, খাদ্য নেই একথা বলবেন না। রেশনে পর্যাপ্ত খাদ্য রয়েছে, প্রতি ঘরে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে যাচ্ছে, আপনাদের সময়ের মতো দম বন্ধকর অবস্থা নয়, পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে। তাই এখন বামপন্থীদের দিক থেকে মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে।
এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক শম্ভু লাল চাকমা সহ অন্যান্যরা । এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে ৫২ পরিবারের ১৭৮ জন ভোটার বিজেপি দলে শামিল হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন