আগরতলা, ১৩ নভেম্বর : শ্যামহরি শর্মার মতো বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মীদের আত্ম বলিদানের মধ্য দিয়েই রাজ্যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। রবিবার আগরতলার লালবাহাদুর চৌমুহনীতে ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্যোগে শহীদ শ্যামহরি শর্মার বলিদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি লালবাহাদুর ক্লাব প্রাঙ্গনে শহীদ শ্যামহরি শর্মার মর্মর মূর্তি স্থাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় ক্লাব এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস সিপিএম মানেই আতঙ্ক, বর্তমান সরকারের সময়কালে মানুষ এই আতঙ্কের পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের ১৩ই নভেম্বর তৎকালীন ৬ নং কৃষ্ণনগর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন চলাকালীন যে নৃশংসতায় হামলা চালিয়ে শ্যামহরি শর্মার মতো দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব কে হত্যা করা হয়েছে, এইরকম নৃসংসতা ত্রিপুরা রাজ্যে দ্বিতীয় নেই।
১৯৯১ সালের ১৩ই নভেম্বর আজকের দিনে লালবাহাদুর চৌমুহনীতে আততায়ীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা প্রদেশের প্রথম শহীদ, রাজ্য বিজেপির প্রবাদপ্রতিম সদস্য আমাদের অনুপ্রেরণা স্বর্গীয় শ্যামহরি শর্মা মহাশয়ের বলিদান দিবসে ওনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করি। pic.twitter.com/oJK2HlYDXQ
— Prof.(Dr.) Manik Saha (@DrManikSaha2) November 13, 2022
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস এখনও তাদের বোমা কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই প্রসঙ্গে তিনি কদিন আগে বিশালগড়ের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন । একইভাবে তিনি সমালোচনায় বিদ্ধ করেন সিপিএম দলকেও। তিনি বলেন, হাব ভাবে সহজ সরল দেখালেও তাদের সন্ত্রাসী রূপটা রাজ্যের সাধারণ মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। তারা হয়তো জানেই না রাজনীতি মানে গায়ের জোরে মানুষের আস্তা অর্জন নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কমিউনিস্টদের নিতীই হল, বেঁচে থাকতে গেলে একজনকে দাবিয়ে চলো। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি এই নিচু মানসিকতায় বিশ্বাস করে না, এই দলের আদর্শ সেবায়ই সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। অথচ বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন । ন্যাশনাল ক্রাইম রিপোর্টে দেশের ২৮ টি রাজ্যের মধ্যে নিম্নের দিক থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। এমনকি নেশা জাতীয় সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করণের ক্ষেত্রেও উত্তর-পূর্ব ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রাজ্যের অবস্থান। বর্তমান সরকারের সময় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ অপরাধের মাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার পরিসংখ্যান বেড়েছে । এই প্রসঙ্গে তিনি গতকালকে কাঞ্চনপুর সড়কে বিজেপির জনজাতি মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্বের উপর আক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, তিপ্রামথা দলের উশৃংখল কর্মীদের দ্বারা আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে নয় জনকে আটক করেছে পুলিশ । এইরকম ঘটনায় কাউকেই ছাড়া হবে না বলে হুংকার ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, শহীদ শ্যামহরি শর্মার পত্নী জয়শ্রী শর্মা, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, বরিষ্ঠ আইনজীবী প্রদ্যুত ধর সহ অন্যান্যরা।
Political : আস্তাবলে তিপ্রামথার সমাবেশ, হাতের পাঁচ আঙুলে তালি দিয়ে থানসার গুরুত্ব বোঝালেন প্রদ্যোৎ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন