আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি : বিজেপির ৯ বনমালীপুর মন্ডলের তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি সুমন দাস মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমনে বের হলে, কিছু দুষ্কৃতিকারী তার ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তাঁর আঘাত অত্যন্ত গুরুতর। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। প্রাণঘাতী এই আক্রমণের ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা ছুটে যান জিবিপি হাসপাতালে, সেখানে গিয়ে নিজে তার আঘাতের গভীরতা পরীক্ষা করেন । কথা বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। মুখমন্ডল এবং মাথার আঘাতের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন নিউরো সার্জন ডাঃ সিদ্ধা রেড্ডীর সঙ্গে। তিনি আহত সুমন দাসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন । এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, সদর শহর জেলা সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
পরে এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষকে খুন করে মৃতদেহের উপর দিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে, বামগ্রেস এখন তা আবার শুরু করতে চাইছে। কিন্তু আমরা তা বরদাস্ত করবো না। তিনি বলেন, খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি ত্রিপুরার মানুষ আগেও দেখেছে, এখন আবার কংগ্রেসি গুন্ডারা তাদের নতুন বন্ধু সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে আবার শুরু করতে চাইছে। তাকে রুখতে নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
একজন ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জন হিসেবে আহত সুমন দাসের আঘাতের গভীরতা কতটুকু তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। যেভাবে তার ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে তা বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগেও কংগ্রেস-সিপিএম মিলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে অবনতি করার চেস্টা করেছে । নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ সন্ত্রাস থেকে নিস্তার চেয়েছে । ২০১৮ সালে সেই নিস্তার মিলেছে। এখন তারা আবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা কে অবনতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, পুলিশকে এর বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার পরামর্শ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সক্রিয় কার্যকর্তা সুমন দাসের উপর যারা প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে ৪-৫ জনের নামধাম সহ পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান রাখেন। তবে তিনি দুষ্কৃতকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "কাউকেই ছাড়া হবে না"।
এদিকে সন্ধ্যায় বিজেপির পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডাকা হয়। এতে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, বিরোধীরা যতই চক্রান্ত করুক ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করুক বিজেপি দলের বিন্দু মাত্র ক্ষতি করার ক্ষমতা নেই । আগের থেকে আরও অধিক সংখ্যক আসন নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। পাশাপাশি তিনি বলেন সিপিএমের চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে। যে কালচার বাম আমলে আগে ছিল সেই কালচার এখন ফিরিয়ে আনছে বামেরা। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ তুললেন রতন লাল নাথ বলেন,দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে কালিকান্ডে দোষী আধিকারিক অজয় দাসকে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই আধিকারিক বিরোধীদলের স্বার্থে অতি উৎসাহী বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের জবাব দেবে সাধারণ মানুষ। বনমালীপুর মন্ডলের এস সি মোর্চার সভাপতি সুমন দাসের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানালো বিজেপি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে তারা।
Assembly Election 2023 : দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে কালি লেপন, কমিশনের ভূমিকায় বিজেপির অসন্তোষ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন