আগরতলা, ০৫ ফেব্রুয়ারি : ২০২৩ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার আগরতলায় প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে দলের ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ সুস্মিতা দেব, রাজ্যের সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস।
সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বাংলায় সব দিকের উন্নয়ন হয়েছে গত ১১ বছরে। তার উপর ভিত্তি করেই আমরা এক লক্ষ এমএসএমই-র কথা বলেছি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক পরিবর্তনের কথা বলেছি। উচ্চ শিক্ষায় আমরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কথা বলেছি। ২ লক্ষ কর্মসংস্থানের কথা বলেছি।” বঙ্গের মন্ত্রী শশী বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের কোনও অজুহাত দেখানো হয়নি। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করেই চলেছে। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ থেমে নেই। বিজেপি যে ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলে, সেই ডাবল ইঞ্জিন ত্রিপুরায় ট্রাবল ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ হয়েছে। এ বার ত্রিপুরার মানুষ সমর্থন করলেই কাজ করার সুযোগ পাবে তৃণমূল।” তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ত্রিপুরার মাটিতে গত দু'বছর ধরে তাঁরা যে পরিশ্রম তাঁরা করেছেন, সেই অভিজ্ঞতাই উঠে এসেছে এই ইস্তাহারে। যে ১০,২২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে ত্রিপুরায়, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সেই শিক্ষকদের কথাও ভাবা হবে।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় সোমবার ত্রিপুরায় আসছেন তৃণমুর নেত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেবেন। পরদিন মঙ্গলবার আগরতলায় তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে একটি পদযাত্রা করবেন মমতা। ৪ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন তিনি। উল্লেখ্য, ত্রিপুরার নির্বাচনে এ এবার ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল। মাত্র ২৮ টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে এই দল কিভাবে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসবে, এই বিষয়ে কোন স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়নি এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন