আগরতলা, ২৮ ফেব্রুয়ারি : মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে মঙ্গলবার উমাকান্ত একাডেমির ভোট গণনা কেন্দ্রের মিডিয়া সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তার সাথে ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার তথা জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, ৮-টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার অরূপ দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজদীপ দেব, সদরের এসডিপিও অজয় দাস প্রমুখ। উমাকান্ত একাডেমির নতুন বিল্ডিংয়ের গণনাকেন্দ্রে ১ থেকে ৫, ৯ থেকে ১১ এবং ১৩ নং বিধানসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রের ভোট গণনা করা হবে। উমাকান্ত একাডেমির পুরাতন বিল্ডিংয়ের গণনা কেন্দ্রে ৬ থেকে ৮, ১৪ এবং ১৮ নং বিধানসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রের ভোট গণনা করা হবে। এই দুটি গণনাকেন্দ্রে সাংবাদিকদের জন্য দুটি মিডিয়া সেন্টার থাকবে। তাছাড়াও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ আজ পুরাতন বিল্ডিংয়ে ১৮- সূর্যমণিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা কেন্দ্রটিও পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে জানান, আগামী ২ মার্চ, সকাল ৮টা থেকে রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা করা হবে মোট ২১টি কেন্দ্রে। তিনি জানান, সাংবাদিকদের গণনা কেন্দ্রের ভিতরে নির্দিষ্ট একটি কক্ষে সংবাদ সংগ্রহের সুবিধা থাকবে। তিনি জানান, গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। এই দুটি বিল্ডিংয়ে মোট ১৪টি কাউন্টিং হল তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, সব কাউন্টিং টেবিলে একজন করে মাইক্রো অবজারভার থাকবেন। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫টি করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিভিপ্যাট গণনা করা হবে। লটারির মাধ্যমে এই ৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে গড়ে ৫ রাউন্ড করে গণনা হবে। ২ মার্চ গণনার দিন সকাল ৮টা থেকে প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হবে। পোস্টাল ব্যালট গণনা শেষ হওয়ার পর ইভিএমের গণনা শুরু হবে।
অপরদিকে মোহনপুরের ফকিরামুড়া জেবি স্কুলে এদিন মোহনপুর মহকুমা ভিত্তিক শান্তি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর ত্রিপুরাবাসীর আস্থা রয়েছে। এজন্যই রাজ্যে যে কোন নির্বাচনে নাগরিকগণ উৎসবের মেজাজে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পড়েছে। মহিলারা পুরুষদের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি ভোট দান করেছেন। তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা প্রত্যেক নাগরিকেরই সাংবিধানিক অধিকার। তিনি বলেন, ২ মার্চ নির্বাচনের ফলাফলে যেই নির্বাচিত হোক, আমরা সন্মান জানাব। এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তিনি আরও বলেন, রাজ্যবাসী আমরা সকলেই শান্তির পক্ষে, অহিংসার পক্ষে। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর শান্তি বজায় রাখার মাধ্যমে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা কতটা শান্তিপূর্ণ তা দেশের সামনে ওঠে আসবে।
সিইও ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা দেবপ্রিয় বর্ধন, মোহনপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী দেবনাথ, লেম্বুছড়া কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ টিকে মাইতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক সুব্রত ভট্টাচার্য। সভায় এআরও, সেক্টর অফিসার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সমাজসেবীগণ সহ এলাকার জনগণ উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্যে সহ অন্যান্যরা বেলুন ও সাদা পায়রা উড়িয়ে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন