আগরতলা, ০৯ ফেব্রুয়ারি : দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ফের একবার রাজ্যে এসে সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস সিপিএমের জোট একটা তালমিল। এই সিপিএমই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করেছে, মারধোর করেছে। আর ক্ষমতার লোভে সেই পার্টির সঙ্গেই দোস্তি করেছে কংগ্রেস। এই কংগ্রেস মানেই কমিশন, অস্বচ্ছ প্রশাসন, নীতিহীন দল, নেপোটিজম, ভাই ভাতিজা, পরিবার বাদ ও আইন শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী দল। সিপিএম মানেই জঙ্গলরাজ, প্রশাসন ধ্বংসকারী, রেশন লুট ও ঘরে ঢুকে শত্রু বিনাশের দল। ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই জাতীয় সড়ক, ইন্টারনেট, রেল পরিষেবা, পরিকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গরীব, মহিলা, যুব স্বশক্তিকরনের দল। সর্বোপরি বিজেপি মানেই সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের দল। বৃহস্পতিবার রাজধানী সংলগ্ন খয়েরপুর পল্লীমঙ্গল স্কুল মাঠে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত বিজয় সংকল্প জন সমাবেশে একথা বলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
জন সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আরো বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি বিশ্বাস করে সমৃদ্ধ ত্রিপুরা, উন্নত ত্রিপুরা গঠনের। ২০১৮ সালে ত্রিপুরার মানুষকে যে প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলি পূরনের জন্য কাজ করেছে পার্টি। এখন ত্রিপুরা থেকে লালেদের আতঙ্ক দূর হয়েছে। ২০১৮ সালের আগে সিপিএমের যে ভ্রস্টাচার ছিল সেটা এখন সমাপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগে ত্রিপুরা ছিল দুর্নীতি, কমিশন, গুন্ডারাজ, মাফিয়ারাজ, রাজনৈতিক হিংসা ও লেভি রাজের রাজ্য। ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এসেই সেসকল অভিশাপ থেকে রাজ্যকে মুক্ত করেছে। এখন বিকাশ, শান্তি সম্প্রীতি, সদ্ভাবনার রাজ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ত্রিপুরা। জে পি নাড্ডা আরো বলেন, ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেই ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে বিকাশের নয়া মার্গদর্শন দেখিয়েছে ত্রিপুরা। ৫ বছরে একটা রাজ্য কতটুকু এগিয়ে যেতে পারে তার নিদর্শন রেখেছে ত্রিপুরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এক নয়া দিশায় এগিয়ে চলছে। সব ক্ষেত্রেই এখন বিকাশ আর বিকাশ। দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হারও বেড়েছে অনেক। সারা দুনিয়ার মধ্যে অন্যতম আর্থিক সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। জনজাতি অংশের মানুষের কল্যাণেও আন্তরিক কেন্দ্রীয় সরকার। জনজাতি ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একলব্য মডেল স্কুল গড়ে উঠছে সারা দেশে। ত্রিপুরাতেও এধরনের স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে।
সমাবেশে অন্যতম বক্তা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বিরোধী শিবিরের জোট নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঠিক নির্দেশনায় এখন উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা। ভারতীয় জনতা পার্টি প্রকৃত অর্থে মানুষের পার্টি। এই পার্টি আমজনতার কল্যাণে বিশ্বাস করে। মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে এই পার্টি। আর শুধু ক্ষমতার লোভে যাবতীয় নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে অশুভ আঁতাত করেছে কংগ্রেস সিপিএম। সিপিএমের জমানায় হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য নষ্ট করা, অগ্নিসংযোগ হয়েছে কংগ্রেসীদের উপর। আর শেষপর্যন্ত সেই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গেই জোট বেঁধেছে কংগ্রেস। আসন্ন নির্বাচনে মানুষই এর উপযুক্ত জবাব দেবেন। তাই আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে মথা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও সমালোচনার পারদ চড়ান তিনি।
এদিন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর পূর্বাঞ্চলের কো অর্ডিনেটর সম্বিত পাত্রা, নির্বাচনী প্রভারী মহেশ শর্মা, খয়েরপুর কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী রতন চক্রবর্তী, বডজলা কেন্দ্রের প্রার্থী ডা: দিলীপ দাস, সুরেশ রানা, অসিত রায়, অমিত নন্দী, মুকুল রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। আর এই ঐতিহাসিক জনসভায় প্রচুর সংখ্যায় নারী পুরুষের সমাগম ঘটে।
Tripura Assembly Election 2023 : মোট ২৩টি জায়গায় পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন