আগরতলা, ১০ মার্চ : আগের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ও পিডব্লিউ দপ্তরের পাশাপাশি শিক্ষা, আইন, তথ্য ও সংস্কৃতি, দমকল ও ডিডাব্লিউএস দপ্তর নিজের হাতে রেখে ৮ মন্ত্রীর মধ্যে দপ্তর বন্টন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৮ মার্চ স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী সহ ৮ জন কেবিনেট মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করার পর সবার নজর ছিল কোন মন্ত্রী কোন দপ্তরের দায়িত্ব পাচ্ছেন সেদিকে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা আভাস দিয়েছিলেন শুক্রবারের মধ্যেই বন্টন হতে পারে মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর। সেই অনুযায়ী এদিন দুপুরে মুখ্যসচিব জে কে সিনহার স্বাক্ষরিত সরকারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে বিস্তৃতভাবে বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীর সহ অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে কোন কোন দপ্তর বন্টন করা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের সাধারণ প্রশাসন থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মূলে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকছে – স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পূর্ত, তথ্য ও অবন্টিত সব দপ্তর। রতন লাল নাথের হাতে থাকছে – বিদ্যুৎ, কৃষি ও নির্বাচন। প্রণজিত সিংহ রায়ের হাতে থাকছে – অর্থ ও আই টি। সুশান্ত চৌধুরীর হাতে থাকছে – খাদ্য, পরিবহণ ও পর্যটন। শান্তনা চাকমার হাতে থাকছে – শিল্প বাণিজ্য ও জেল। টিঙ্কু রায়ের হাতে থাকছে – যুব কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা ও শ্রমদপ্তর। বিকাশ দেববর্মার হাতে থাকছে – উপজাতি কল্যাণ ও পরিসংখ্যান। সুধাংশু দাসের হাতে থাকছে – তপশিলি জাতি কল্যাণ ও প্রাণী সম্পদ দপ্তর। শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার হাতে থাকছে – সমবায় ও উপজাতি কল্যাণ।
কেবিনেট মন্ত্রীদের গুরুত্ব অনুযায়ী দ্বিতীয় মর্যাদায় মন্ত্রী রতনলাল নাথকে রাখা হলেও তাঁর হাতের থাকা শিক্ষা ও আইন দপ্তর এবার মুখ্যমন্ত্রী রাখলেন নিজের হাতে। প্রনজিৎ সিংহ রায়ের হাতে থাকা কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর রতনলাল নাথের হাতে তুলে দিলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর 'অর্থ' তুলে দেয়া হলো প্রনজিৎ সিংহ রায়ের হাতে। আগের মন্ত্রিসভায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে সুশান্ত চৌধুরীর হাতে থাকা তথ্য ও সাংস্কৃতি দপ্তর মুখ্যমন্ত্রী তার নিজের হাতে রাখলেন । তবে এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া রামপ্রসাদ পালের প্রায় সব কটি দপ্তর অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে বন্টন করলেও দমকল রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতেই।
Dr Manik Saha : প্রোটেম স্পীকার হবেন বিনয়ভূষণ দাস, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড কিছুতেই সম্ভব নয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন