আগরতলা, ১৫ মার্চ : ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে জিতেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি এবারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের অন্যতম কেন্দ্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কেন্দ্র ধনপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন। আগতলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিলো প্রতিমা ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তবে এই গুঞ্জনে কান দেয়নি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এরপর তিনি দিল্লির মন্ত্রীত্বই বেছে নেন। প্রতিমা ভৌমিক তাঁর পদত্যাগপত্র তুলে দেন বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার বিনয়ভূষণ দাসের হাতে।
নিজের পদত্যাগের বিষয়ে প্রতিমা ভৌমিক বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকলেও দল বিধানসভা ভোটে লড়াই করতে বলেছিল। তাই তিনি ভোটে লড়েছিলেন। যেহেতু একসাথে সাংসদ ও বিধায়ক পদে থাকা যায়না তাই দলেরই নির্দেশেই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করা। তাই স্বাভাবিকভাবেই ধনপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের পদত্যাগের পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে কে হবেন আগামী দিনে ধনপুর কেন্দ্রে বিজেপির মুখ। এরমধ্যে দুটো নাম উঠে আসছে একজন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা আর একজন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা দুজনে বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই করে পরাজিত হয়েছেন। জিষ্ণু দেববর্মা চড়িলাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন। আর রাজীব ভট্টাচার্য পরাজিত হয়েছেন বনমালীপুর আসন থেকে। বনমালীপুর আসনটি হাতছাড়া হওয়ার পেছনে কি কি কারণ রয়েছে, এই নিয়ে বিজেপির যে অন্তর তদন্ত হয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে অন্তর্কুন্দলকে । আরেক দিকে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা যে চরিলাম আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন, সেখানে অন্তর্কুন্দল ততটা প্রকট না থাকলেও মূলত তিপ্রামথা দলের ফ্যাক্টরকেই দায়ী করা হচ্ছে। জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল তিপ্রামথাকে একটা বার্তা দেবার লক্ষেই আগামী দিনে জিষ্ণু দেববর্মাকে ধনপুর আসন থেকে জয়ী করে আনার পরিকল্পনা বিজেপির রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে ত্রিপুরা বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার হিসাবে আজই শপথ গ্রহণ করেন ত্রয়োদশ ত্রিপুরা বিধানসভার জয়ী সদস্য বিনয় ভূষণ দাস। রাজভবনের দরবার হলে আয়োজিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সত্যদেও নারাইন আর্য। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা সহ মন্ত্রিসভার সদস্য রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায়, সুশান্ত চৌধুরী, টিংকু রায়, সান্ত্বনা চাকমা, বিকাশ দেববর্মা ও শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শংকর দে ও এডিজি সৌরভ ত্রিপাঠি। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য ও সদস্যাগণ প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাসকে পুষ্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন