আমবাসা, ১৩ ডিসেম্বর : কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদে কৃষকদের অভ্যস্ত করে তুলতে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। মঙ্গলবার আমবাসার দশমীঘাটে এগ্রি মার্কেট শেড, সালেমায় ১০০ এমটি ক্ষমতাসম্পন্ন সার ও বীজাগার, সালেমা ফার্মার অ্যাডভাইজরি সেন্টার ও কচুছড়া প্রাইমারি গ্রামীণ মার্কেট শেডের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন। কচুছড়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ের সময় কৃষিমন্ত্রী কৃষকদের কল্যাণে রাজ্য সরকার যে সমস্ত কর্মসূচি নিয়েছে তা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, আমবাসার দশমীঘাটে এগ্রি মার্কেট শেড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬০ লক্ষ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা। সালেমায় ১০০ এমটি ক্ষমতাসম্পন্ন সার ও বীজাগার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। কচুছড়ায় গ্রামীণ মার্কেট শেড নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬০ লক্ষ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা।
সালেমায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় বলেন, আমাদের রাজ্য কৃষি নির্ভর। কৃষির বিকাশ হলেই অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে। তাই সরকার কৃষির বিকাশে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে কৃষির বিকাশে নতুন নিশা এনেছেন। রাজ্য সরকারও এই দিশায় কাজ করছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরণের উপরও সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ২০ টাকা ৪০ পয়সা দরে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু করেছে। এর সুফল রাজ্যের কৃষকরা পাচ্ছেন। শুধু অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টিই নয়, রাজ্যের উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ও বিদেশে রপ্তানির জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের উৎপাদিত ক্যুইন ও কিট ভ্যারাইটির আনারস, লেবু কাঁঠাল দেশ ও বিদেশে রপ্তানি হতে শুরু করেছে। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সার্বিক বিকাশে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
সালেমা ও কচুছড়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল ও ধলাই জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অনাদি সরকার। অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন আমবাসা পুরপরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন গোপাল সূত্রধর, সালেমা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুজিত বিশ্বাস, সালেমা বিএসির চেয়ারম্যান বিমল দেববর্মা প্রমুখ। দুটি অনুষ্ঠানেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস।
Bhupendra Patel : দ্বিতীয়বারের জন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন