আগরতলা, ২৩ মার্চ : ত্রিপুরায় ত্রয়োদশ বিধানসভায় জমে উঠেছে অধ্যক্ষ পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া । শাসক জোটের প্রার্থী হয়েছেন ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন এবং বিরোধী ত্রিদলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের বিধায়ক গোপালচন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গিয়ে উভয় প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
ত্রয়োদশ ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ পদের জন্য ধর্মনগর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন বিজেপি-আইপিএফটি দলের প্রার্থী হিসাবে বিধানসভার সচিবের কাছে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রাজ্য মন্ত্রীসভার সংসদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ সহ একাধিক সদস্য, সদস্যা এবং বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধী দল বামগ্রেস ও তিপ্রামথার স্পীকার পদে প্রার্থী হিসাবে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মনোনয়ন জমা দিলেন বিধায়ক গোপাল রায়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাম -কংগ্রেসের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও, তিপ্রা মথার কোনও প্রতিনিধি বা বিধায়ক কে দেখা যায় নি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ভোটের আগে মথার সমর্থনের কথা প্রচার করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাম-গ্রেসের নেতারা, স্পীকার নির্বাচন নিয়েও একই ধরনের প্রচার নয় তো? কেননা, মথার সমর্থনপর কথা বার বার বলা হলেও, তিপ্রামথা দলের পক্ষ থেকে এই ব্যপারে কোনও বিবৃতি ও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এদিন কংগ্রেসের তিন বিধায়ক ও বাম পরিষদীয় দলের নেতা বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু ছিলো না মথার কেউ।
এদিকে শাসক দলের হয়ে বিধানসভার স্পিকার পদে বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংসদীয় মন্ত্রী রতন লাল নাথ নাম না করেই কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ কে নিশানা করে বলেন, তিনি ইংরেজি জানলেও অংকে কাঁচা। শাসক দলের বিধায়ক যাদব লাল নাথের কাছ থেকে অংক শেখার জন্য সুদীপ রায় বর্মন কে পরামর্শ দিলেন তিনি। তিনি গণতন্ত্রের স্বার্থে বিরোধী দলের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করার আবেদন রাখেন।
Tripura Police : পানিসাগরের চামটিলায় দুই নেশা কারবারি আটক, পুলিশে আন্টি নার্কোটিকস টাস্ক ফোর্স চালু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন