আগরতলা, ১৪ এপ্রিল : পুরাতনকে সাক্ষী রেখে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোই আমাদের পরম্পরা, এর ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা বাংলা নতুন বছর ১৪৩০ কে স্বাগত জানাচ্ছি । শনিবার আগরতলার মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয় কাব্যলোক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষবিদায়-বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। তিনি বলেন ত্রিপুরার কৃষ্টি সংস্কৃতি কতটা মজবুত তা গত কয়েকদিনে জনজাতি সম্প্রদায়ের তিনটি উৎসবে অংশ নিয়ে বাস্তবিকভাবে প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি বলেন ত্রিপুরী, চাকমা, জমাতিয়া হদা এই তিনটি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী উৎসবে অংশ নিয়ে মনে হয়েছে ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি কথাটা যেমন সত্য তেমনি ড্রাইভারসিটির মধ্যেও ইউনিটি বিদ্যমান রয়েছে।
বিগত ২৫ বছর ধরে আগরতলা শহরে বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতিকে তুলে ধরে বৈচিত্রপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় আয়োজক সংস্থা কাব্যলোকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে এখানে না এলে বোঝা যায় না যে এটা ১লা বৈশাখ এসেছে। তিনি বলেন রাজ্য সরকার চাইছে কৃষ্টি সংস্কৃতি যাতে এ রাজ্যে আরও মজবুত হয়। তাই এখানে ১৯ টি জনজাতি সম্প্রদায়কে সর্বতোভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী চাইছেন সব জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে । এর মাধ্যমে কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে । আমাদের লোকসংস্কৃতির সবকিছুতেই বিদ্যমান রয়েছে পরিছন্নতা । এই পরিছন্নতাকে আরো মসৃণ করতে হবে। সামাজিক অবক্ষয় রুখতে হবে । এই বিষয়ে সবাইকে আজকের দিনে শপথ নেওয়ার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি সবাইকে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান রাখেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি স্বপন নন্দী, সম্পাদক উত্তম চক্রবর্তী, বরিষ্ঠ সাংবাদিক সুবল কুমার দে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অর্পিতা সাহা সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। এদিনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
Ambedkar Jayanti 2023 : বিধানসভা ভবনের সামনে ১৮ ফুট উচ্চতায় বসছে বাবাসাহেবের মূর্তি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন