সাব্রুম, ৪ জুলাই : রাজ্যব্যাপী ৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি ধরে কে নাম' শীর্ষক অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। মৈত্রী সেতু সংলগ্ন নবীনপাড়ায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন খতিয়ে দেখতে আজ রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা সঞ্জীব চাকমা সারুম সফর করেন। সফরকালে তারা আয়োজনস্থল ঘুরে দেখেন এবং এক আলোচনা সভায় মিলিত হন। সভায় প্রক্তন বিধায়ক শংকর রায়, মহকুমা শাসক বিধানচন্দ্র রায়, ডিসিএম মনোজ প্রভাকর পাল, দপ্তরের সহ অধিকর্তা রিপণ চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে এক বিস্তৃত রূপরেখা তৈরী করা হয়।
এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ৭৫ টি সীমান্ত গ্রামকে চিহ্নিত করে সেগুলিতে আগামী দেড়মাস যাবৎ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পগুলির ১০০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে সাব্রুম মহকুমার আমলীঘাট, কৃষ্ণনগর, শ্রীনগর, ইন্দিরানগর, দৌলবাড়ি ও বৈষ্ণবপুর এই ৬টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য দেশব্যাপী 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' পালন করা হচ্ছে। দুই বছরব্যাপী এই কর্মসূচি আগামী ১৫ আগস্ট, ২০২৩ পর্যন্ত চলবে। স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং দেশের অনুল্লেখিত নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ‘৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম' শীর্ষক এক কর্মসূচি আগামী জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ৮টি জেলার ১৬টি মহকুমার মোট ৭৫টি সীমান্ত গ্রামকে চিহ্নিত করা হবে। সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নামের ফলক তৈরি করা হবে। এ উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, ম্যারাথন দৌড়, ৭৫ কিলোমিটার বাইসাইকেল রালি, ক্রান্তি বীর মিউজিক্যাল কনসার্ট, চিহ্নিত গ্রামগুলিতে দেশাত্মবোধক নাটক, গান, অঙ্কন কর্মশালা, চিরাচরিত খাদ্য উৎসব, ক্যালেন্ডার আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সাংস্কৃতিক মন্ত্রক থেকে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার অনুমোদন পাওয়া গেছে।
Agriculture : কৃষি ও উদ্যানজাত ফসল বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন এবং ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন