Meri Metti Mera Desh : দেশজুড়ে আয়োজিত কর্মসূচিকে রাজ্যেও সফল ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে সভা - ব্রহ্মকুন্ড বার্তা Brahamakundabartaa

ব্রহ্মকুন্ড বার্তা  Brahamakundabartaa

দেশ-বিদেশ ও ত্রিপুরার সব খবরের আপডেট

Post Top Ad

Translate

Meri Metti Mera Desh : দেশজুড়ে আয়োজিত কর্মসূচিকে রাজ্যেও সফল ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পৌরহিত্যে সভা

Share This


 আগরতলা, ০৭ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি দেশের জনগণের মধ্যে দেশাত্মবোধক ভাবনার চিন্তা আরও জাগিয়ে তোলার লক্ষ্যে 'মেরি মিটি মেরা দেশ' কর্মসূচি বাস্তবায়নের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা সত্যিই অভূতপূর্ব। এই কর্মসূচিটি রাজ্যেও গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়ন করতে হবে। সোমবার সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মেরি মিট্রি মেরা দেশ' কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের ৫৮টি ব্লক থেকে আসা কলসের মাটি ও আগরতলা পুর নিগমের ১টি কলসের মাটি নয়াদিল্লিতে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে কলসগুলিকে ভালোভাবে সুসজ্জিত করে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সভায় আরও বলেন, আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে 'হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচিও রাজ্যে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা দেশের মধ্যে রাজ্যের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। ‘মেরি মিটি মেরা দেশ' কর্মসূচিকেও সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারা দেশে রাজ্যের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিতে হবে। জেলাস্তরে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলাশাসকদের আরও গুরুদায়িত্ব নিতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।


সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী ‘মেরি মিটি মেরা দেশ? কর্মসূচি রূপায়ণে যে সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা সভায় সবিস্তারে তুলে ধরে বলেন, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২১ সালের ১২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন৷ এই মহোৎসবের সমাপ্তি ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে হতে চলেছে। এই মহোৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে সারা দেশে 'মেরি মাটি মেরা দেশ' শীর্ষক এক অভিযান কর্মসূচি আগামী ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে উদযাপন করা হবে। পাশাপাশি গত বছরের মতো এবছরও ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট ‘হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি জানান, ‘মেরি মাটি মেরা দেশ' কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের ৫৮টি ব্লক থেকে ২টি করে ১১৬টি সংগৃহীত অমৃত কলস আগরতলায় নিয়ে আসা হবে। এরমধ্যে ৫৮টি ব্লক থেকে আসা কলসের মাটি ও আগরতলা পুর নিগমের ১টি কলসের মাটি দিয়ে আগরতলায় একটি অমৃত বাটিকা তৈরী করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এই অমৃত বাটিকা নির্মাণ কার্যক্রমের শুভসূচনা করবেন। ঐ দিনই বাকি ৫৯টি অমৃত কলস নিয়ে রাজ্যের ৫৯ জন যুবা নয়াদিল্লির কর্তব্য পথের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। নয়াদিল্লিতে ২৭ এবং ২৮ আগস্ট তারিখে সমস্ত প্রতিনিধিরা পৌঁছাবেন এবং চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। দেশের ৭,৫০০ ব্লক থেকে আসা মাটি দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বীর শহীদ জওয়ান, শহীদ পুলিশ কর্মচারীর উদ্দেশ্যে এক ‘অমৃত বন’ বানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী এই ৭,৫০০ জন যুবকদের প্রতিনিধিরূপে ৫টি শপথের অঙ্গীকার নেবেন। রাজ্যে জেলাস্তরে এই কর্মসূচির সফল রূপায়ণে জেলাশাসকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব।


সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও সমবায় মন্ত্রী শুরুচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াৎ, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, বিষয়ক কিশোর বর্মণ, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বি এস মিশ্রা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব কে এস শেঠি, শ্রম দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব এল টি ডার্লং, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ ৮টি জেলার জেলা শাসকগণ উপস্থিত ছিলেন।




Indian Railways : অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে উদয়পুর, কুমারঘাট ও ধর্মনগর রেল স্টেশনের পুনর্বিকাশে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad