আগরতলা, ১৮ জুলাই : ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে এখনো মাটি খুঁড়লে উঠে আসে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি। বুধবারে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সীমান্তবর্তী বামুটিয়া গ্রামে মাটি খনন করতেই উঠে আসে বেশ কয়েকটি কামান সেল। বামুটিয়ার রাঙ্গুটিয়া গ্রামের কৃষক দুলাল নম তার বাড়িতে গর্ত খুঁড়ে মাছ চাষ করবেন, এই ভেবে এদিন মাটি খোরার কাজ শুরু করেন । এক সময় কোদালের গায়ে লাগে লোহার তৈরি ভারী বস্তু । সন্দেহ হতেই শ্রমিকরা তাদের গর্ত প্রসারিত করতে থাকেন। এরপরেই একে একে বেশ কয়েকটি কামানশেল উদ্ধার হয়।
গর্ত থেকে পরপর তিন চারটি কামাল শেল উঠে আসার পরেই তারা অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মুহূর্তই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে । একে একে লোক জড়ো হতে থাকেন। এক সময় তাদের সন্দেহ হয়, যদি এই কামন শেল গুলো তাজা থাকে তাহলে বিস্ফোরিত হয়ে বিপদ হতে পারে। তাই দেরি না করে খবর দেয়া হয় বামুটিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে। পরে দুলাল বাবু এবং প্রতিবেশী আরো কয়েকজন মিলে, আরো বেশি করে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করেন, এতে বেশ কয়েকটি কামান শেল উদ্ধার হয়।
মাটি খুঁড়ে বের করা হচ্ছে কামান শেল |
পুলিশ জানায় এদিনের ঘটনায় ২৭ টি কামান শেল উদ্ধার হয়েছে। এর সবগুলি বেশ পুরনো। ৫০ বছরের অধিক সময় আগের বলে পুলিশের অনুমান। তবে এই কামান শেল গুলোর কোনটাই তাজা নেই বলে এলাকাবাসীদের নিশ্চিত করে পুলিশ।
এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই বামুটিয়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। তাই মুক্তিযোদ্ধারা যেমন গোলাবারুদ এখানে মজুদ রাখতে পারেন, তেমনি ওই সময় পাকিস্তান বাহিনীও এই গ্রামকে লক্ষ্য করে কামাল শেল নিক্ষেপ করেছিল। তবে এই কামন শেল গুলি মুক্তিযোদ্ধাদের হোক, বা পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিক্ষেপিত হোক। এই গুলির সাথে যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এ ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত সবাই।
Crime : রতনপুরে ছেলের হাতে মুন্ডচ্ছেদ মায়ের, গ্রেফতার অভিযুক্ত পাষন্ড সন্তান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন