আগরতলা, ২০ জুলাই : খার্চি উৎসব ত্রিপুরার সার্বজনীন উৎসব। প্রতি বছরই আষাঢ় মাসের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে খার্চি পূজার সূচনা হয়। এই পূজাকে কেন্দ্র করে চতুর্দশ দেবতা মন্দির হয়ে উঠে সম্প্রীতির তীর্থভূমি। শনিবার সন্ধ্যায় ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, খার্চি পূজাকে কেন্দ্র করে পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণ মিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়। খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ শিল্প ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খার্চি মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। এবারের খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে খার্চি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর উপলক্ষে প্রতিদিনই তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং খার্চি মেলা কমিটির উদ্যোগে চতুর্দশ দেবতাবাড়ি প্রাঙ্গণের কৃষ্ণমালা মঞ্চে ও হাবেলি মুক্তমঞ্চে আয়োজিত হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লাবণ্য একাডেমি ও রিদম ডান্স একাডেমির সমবেত ভক্তি সংগীত ও সমবেত নৃত্যের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণমালা মঞ্চে আজ সকালবেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। মঞ্চে ৫ জন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী একক সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া মঞ্চে বিজয়লক্ষ্মী সিনহা রামায়ণ গান এবং শান্তিরবাজার থেকে আগত মুড়াসিংপাড়া লোকরঞ্জন শাখার শিল্পীগণ আদিবাসী বাউল সংগীত পরিবেশন করেন।
বিকাল বেলায় হাবেলি মুক্তমঞ্চের শিশু উৎসবে ৮টি শিশু সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ সমবেত সংগীত ও সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে। ৮ জন শিশু শিল্পী একক সংগীত পরিবেশন করে। একক নৃত্য পরিবেশন করে দেবাদৃতা কর্মকার ও রূপাঞ্জনা চৌধুরী। গানের জগত সাংস্কৃতিক সংস্থার শিশু শিল্পীগণ সমবেত বাদ্যযন্ত্র বাদনে অংশ নেয়। উল্লেখ্য, গতকাল ষষ্ঠদিনে খার্চি উৎসবের কৃষ্ণমালা মঞ্চে রাতের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট শিল্পী সুমি হায়দার বাউল সংগীত পরিবেশন করেন। অগণিত দর্শক ও শ্রোতা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
High-rise Explosion : আগরতলার এক বহুতলে রহস্যজনক বিস্ফোরণে, গুরুতর আহত হলেন স্বামী-স্ত্রী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন