নতুন দিল্লি, ২২ জুলাই : কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের কোনও প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন নেই বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। লোকসভায় এক লিখিত উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি সোমবার একথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন ২০২৪-এর জুনে অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠনের জন্য দুটি আবেদন জমা পড়েছে। তবে বর্তমানে এ সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব সরকারের বিবেচনাধীন নেই।
একই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসার প্রস্তাব এই মুহূর্তে বিবেচনাধীন নেই বলে জানিয়েছে - সরকার। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে আজ কংগ্রেস সাংসদ প্রণতি সুশীল কুমার শিন্ডের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মন্ধান-PMSYM পেনশন কর্মসূচি ২০১৯-এ শুরু হয়। ৬০ বছর বয়স থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা পেনশনের সংস্থান রয়েছে এতে। মন্ত্রী জানান, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী কোনো শ্রমিক যার মাসিক আয় ১৫ হাজার বা তার কম এবং যিনি EPFO, ESIC ও NPS এর সদস্য নন, তিনি এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এই পেনশন প্রকল্পের অধীনে, ওই ব্যক্তি প্রতি মাসে ৫০ শতাংশ দেবে, কেন্দ্রীয় সরকার দেবে বাকী অর্ধেক।
এদিকে পিএম বিশ্বকর্মা কর্মসূচির আওতায় এখনো পর্যন্ত ২ কোটি ২৮ লক্ষের বেশি কারিগর নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে লোকসভায় আজ দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পদ্যোগ প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী জানান । তিনি জানান এর মধ্যে ১৩ লক্ষ ৯৪ হাজারেরও বেশি সুবিধাপ্রাপকের তথ্য যাচাইয়ের পর নাম নিবন্ধীকরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ লক্ষ ৪২ হাজার ২২২ জন মহিলা। সারা দেশে ৫ লক্ষ ৩ হাজার ১৬১ জনকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে; এর মধ্যে দুই লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০৩ জন মহিলা। উল্লেখ্য, ১৮ টি ক্ষেত্রে শিল্পী ও কারিগরদের সাহায্য করতে, গত বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হয় পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্প।
অপরদিকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল জানিয়েছেন, অ-জীবাশ্ম জ্বালানী নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে নিয়ে যেতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে তিনি বলেন, ভারত ইতিমধ্যেই এক্ষেত্রে ৪৫.৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। বছরের পর বছর ধরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। কয়লা নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
জল জীবন মিশন সম্পর্কে রাজ্যসভায় সরকার জানিয়েছে, প্রতিটি ঘরে জল প্রকল্পের অধীনে বিগত ৫ বছর, ১১ কোটি ৭৫ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারকে নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। জল শক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি সমান্না আজ একথা জানান। তিনি আরো জানান, এই সংযোগের মাধ্যমে, প্রতিদিন মাথা পিছু ৫৫ লিটার জল প্রদান করা হচ্ছে। এই জলের গুণমান সম্পর্কে তিনি জানান, অনলাইন JJM WaterQuality Management Information System WQMIS - পোর্টাল চালু করা হয়েছে।পানীয় জলের পর্যবেক্ষণ, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এটি ব্যবহার করে থাকে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে প্রতিটি গ্রাম থেকে ৫ জন করে, বিশেষত মহিলাদের জলের গুণমান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
তবে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের নজর নিবদ্ধ রয়েছে এবছরে কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আগামীকাল লোকসভায় ২০২৪-২৫-অর্থবর্ষের সাধারণ বাজেট পেশ করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এই কেন্দ্রীয় বাজেট আগামী পাঁচ বছরের যাত্রাপথের দিক্ নির্দেশ এবং ২০৪৭-এর মধ্যে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন সাকার করার ভিত্তি স্থাপন করবে। সংসদের বাজেট অধিবেশনের সূচনায় আজ সকালে সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬০ বছর পর কোন সরকার পরপর তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে। দেশবাসীকে তিনি যে যে গ্যারান্টি দিয়েছেন, সেগুলির বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।
Bangladesh Protests : বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়, সরকারী চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন