নতুন দিল্লি, ২৮ এপ্রিল : ভারত, ২৬টি রাফাল মেরিন যুদ্ধ বিমান কেনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। নতুন দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং ফ্রান্সের সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ২৬টির মধ্যে ২২ টি বিমান একক আসন বিশিষ্ট এবং বাকি চারটিতে দুজন সওয়ার থাকতে পারবেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর, প্রয়োজন অনুযায়ী এই বিমানগুলি প্রস্তুত করা হবে। রাফাল মেরিন বিমান নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলে, বাহিনীর শক্তি দুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকবে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং ক্ষেপণাস্ত্র।
এদিকে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গী হামলার উদ্ভূত পরিস্থিতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে গতকাল সাক্ষাৎ করেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাসভবনে তারা সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। জঙ্গীদের নির্মূল করতে কি ধরনের কৌশল নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানান। বিএসএফ-এর আধিকারিকরা যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের প্রস্তুতির বিষয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। বাহিনীর মহানির্দেশক দলজিৎ সিং চৌধুরী গতাকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
অপরদিকে পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে জম্মু কাশ্মীর এই প্রথম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন। আকাশবাণীর জম্মুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জম্মু কাশ্মীর বিধানসভায় আজ বিশেষ অধিবেশনে ওমর বলেন, এই ঘটনায় সমগ্র কাশ্মীর জুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে তাঁর মধ্যে দিয়েই ঐ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ২৬ বছরে এই প্রথমবার কাশ্মীরবাসী কারোর ডাকে নয়, নিজেদের স্বার্থে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। না কোন রাজনৈতিক দল, না কোন সরকারী নির্দেশে তারা রাস্তায় নেমেছেন। গত ২২-শে এপ্রিলের ওই হামলার কথা স্মরণ করে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা বলেন, পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে তাঁর আতিথেওতায় জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকরা ভ্রমণ করেন। তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে না পারা ব্যর্থতার সামিল।
এদিকে, জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় আজ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র সমালোচনা করে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তিন ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনায় এই হামলাকে ঘৃণ্য বর্বরোচিত, অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই হামলা কাশ্মীরিয়াতের মূল্যবোধ, সংবিধানের গুরুত্ব, একতা, শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত হেনেছে। সভায় মৃতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন