নতুন দিল্লি, ২৯ এপ্রিল : মঙ্গলবার নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হলো উচ্চপর্যায়ে বৈঠক। এতে পৌরহিত্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান এবং সমস্ত সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ । চলছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের কঠিন সিদ্ধান্তের জল্পনা।এর আগে বৈঠকে BSF, অসম রাইফেলস, NSG, CRPF, SSB, CISF। একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। উরি হামলার পর হয়েছিল সার্জিকাল স্ট্রাইক, পুলওয়ামার পর বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক! এবার পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ঠান্ডা মাথায় খুনের পর কী পদক্ষেপ করবেন নরেন্দ্র মোদি? সেদিকেই তাকিয়ে দেশবাসী। গত ৭২ ঘণ্টায় তিনবার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ভারত, রাষ্ট্রসংঘে পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়টি জোরালো ভাবে উত্থাপন করেছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের বিষয়ে একজন পাকিস্তানি মন্ত্রীর স্বীকারোক্তির প্রসঙ্গটিকে উত্থাপন করেছে। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি, যোজনা প্যাটেল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফের সাম্প্রতিক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলিকে সমর্থন, প্রশিক্ষণ এবং অর্থায়নের কথা স্বীকার করেছেন এবং বিশ্ববাসী তা শুনেছেন। শ্রীমতী প্যাটেল ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করার এবং এই মঞ্চের অপব্যবহার এবং অবমূল্যায়ন করার জন্য পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
অপরদিকে পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্য সভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খার্গে এবং লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। দেশের সঙ্কটের এই মুহূর্তে সংহতি ও ঐক্য অত্যন্ত জরুরী বলেও পৃথক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন