আগরতলা, ১৯ জুন : যোগা ভারতবর্ষের প্রাচীন একটি দর্শন। যোগা শরীর ও মনকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনি মেধার ও বিকাশ ঘটায়। যোগার মধ্য দিয়ে আত্মপরিচিতি লাভ করা যায়। সোমবার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিবি অডিটোরিয়ামে 'যোগা হেলথ্ এন্ড হ্যাপিনেস' শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগা দিবসকে সামনে রেখে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীর শিক্ষা বিভাগ এই আলোচনাচক্রের আয়োজন করে।
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ২১শে জুন আন্তর্জাতিক যোগা দিবস সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই সেটা সম্ভব হয়েছে। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রসংঘে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্থাপিত যোগা দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তার কথা মান্যতা দিয়ে প্রতি বছর ২১শে জুনকে আন্তর্জাতিক যোগা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে ভারতবর্ষ বর্তমানে বিকাশের পথে অগ্রসর হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অংশে কম নয়। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন উদ্ভাবনী কাজে নিজেদের যুক্ত করছেন যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। রাজ্যে বেসরকারী দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কাজকর্ম শুরু করেছে। পাশাপাশি বহির্রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও রাজ্যে তাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া রাজ্যে বর্তমানে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে সরকারী ডেন্টাল কলেজে পঠনপাঠন শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে এডুকেশন হাব হয়ে উঠবে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই আলোচনাচক্রের সার্বিক সফলতা কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ড. সাহা।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গঙ্গাপ্রসাদ প্রসেইন বলেন, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ কে কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০'র অন্তর্গত চার বছরের অস্নাতক কোর্স চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র দেশে অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ড. সঞ্জীব কুমার ভৌমিক দু'দিনের এই আলোচনাচক্রের বিষয়বস্তু ও কর্মসূচি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার দাসের লেখা একটি বই-র আবরণ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্সসের ডিন প্রফেসর বাদল কুমার দত্ত, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস এন্ড কমার্সের ডিন প্রফেসর শ্যামল দাস। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. দীপক শৰ্মা।
Rainy Day : কয়েক ঘন্টার প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন আগরতলা, কাটা খালে ভেসে গেল ৭টি গাড়ি !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন